Jhalda Municipality: এবার কি ঝালদায় আদি-নব্য তৃণমূল কোন্দল? চিঠিপর্ব ঘিরে জোর চর্চা

Anirban Banerjee | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 27, 2023 | 12:05 AM

Jhalda: ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি আসনের মধ্যে এখন ১০টি তৃণমূলের, ২টি কংগ্রেসের। ভোটের ফল প্রকাশের পর তৃণমূলের ঝুলিতে ছিল ৫, কংগ্রেসের ৫ এবং নির্দলের ২। অর্থাৎ প্রথম থেকেই এখানে নির্দল নির্ণায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করেছে। কিছুদিন আগে নির্দল-কংগ্রেস মিলিয়ে মোট ৫ জন তৃণমূলে যোগ দেন।

Jhalda Municipality: এবার কি ঝালদায় আদি-নব্য তৃণমূল কোন্দল? চিঠিপর্ব ঘিরে জোর চর্চা
ঝালদা পুরসভা।

Follow Us

পুরুলিয়া: ঝালদা পুরসভা আবারও শিরোনামে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সম্প্রতি এখানে বোর্ড গড়েছে তৃণমূল। তবে ঝালদা দখলে পেতেই এবার শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ সামনে। আদি-নব্যর লড়াইয়ের অভিযোগ এবার। মঙ্গলবার একটি চিঠি সামনে আসে। সেই চিঠি ঘিরেই ঝালদায় তৃণমূলের অন্দরে কোন্দলের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। চিঠিতে সই রয়েছে তৃণমূলের পুরনো পাঁচ কাউন্সিলরের। এছাড়াও সই আছে দুই কংগ্রেস কাউন্সিলরের। সাতজনের সইসম্বলিত সেই চিঠি পুরপ্রধানের উদ্দেশে লেখা। এই মুহূর্তে ঝালদার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি যিনি চার কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এর আগে কংগ্রেসের সমর্থনে নির্দলের পুরপ্রধান ছিলেন শীলা। চিঠির বিষয়বস্তু, গত পাঁচ মাস ধরে এখানে কোনও সাধারণ সভা হয়নি। খরচপাতির বিষয়ে সকলে জানতে পারছেন না। এমনকী পুরপ্রধানের যোগদান নিয়েও তাঁদের মনে ধোঁয়াশা আছে বলেও জানান তৃণমূলের কাউন্সিলরই। এদিকে এই চিঠিতে বিরক্ত শীলা। তিনি বলেন, “দলের লোকের বিরুদ্ধেই তো অভিযোগ করছেন ওনারা। আমার মনে হয় এটা ঠিক নয়। কেন এটা ওনারা করছেন আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। মতের অমিল থাকার তো কথা নয়। তারপরও কেন এমন হল দেখতে হবে। আর সাতজনের ব্যাপারটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। মনে হচ্ছে কোনও গোলমাল আছে।”

শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলের টিকিটে কাউন্সিলর হন। প্রথম থেকেই এই পুরসভায় নির্দলদের সমর্থন একটা ফ্যাক্টর হয়ে এসেছে। প্রথমে নির্দলের সমর্থনেই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছিল কংগ্রেস। বোর্ড গড়ে তারা। নির্দলের শীলাকে পুরপ্রধান হিসাবে বেছেও নিতে হয় তাদের। কিছুদিন আগেই সেই শীলা যোগ দেন তৃণমূলে। হাত ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দেন চার কংগ্রেস কাউন্সিলরও। কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভা রাতারাতি তৃণমূলের হয়ে যায়। তবে এই যোগদান তৃণমূলের পুরনো পাঁচ কাউন্সিলর প্রথম থেকেই মেনে নিতে পারেননি বলে গুঞ্জন ওঠে।

এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার একটি চিঠি সামনে আসে। এই চিঠি প্রসঙ্গে ঝালদার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকার বলেন, “অনেক খরচের ব্যাপারে আমরা জানতে পারছি না। সেটাই জানতে এসেছিলাম। পুরপ্রধান আমাদের দলের ঠিকই। তবে ওনাদের যোগদানের বিষয়টা এখনও পরিষ্কার নয়, ধন্দ আছে। তবে অনেক পেমেন্ট, খরচ সবটাই সকলকে জানাতে হবে। সরকারি নির্দেশিকা মেনে যেন সবটা হয় তার জন্য চিঠি।”

ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি আসনের মধ্যে এখন ১০টি তৃণমূলের, ২টি কংগ্রেসের। ভোটের ফল প্রকাশের পর তৃণমূলের ঝুলিতে ছিল ৫, কংগ্রেসের ৫ এবং নির্দলের ২। অর্থাৎ প্রথম থেকেই এখানে নির্দল নির্ণায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করেছে। কিছুদিন আগে নির্দল-কংগ্রেস মিলিয়ে মোট ৫ জন তৃণমূলে যোগ দেন। কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল বলেন, “বর্তমান পুরবোর্ড সংখ্যালঘু। ওরা বলছে ১০টা ওদের। কিন্তু কোথাও এ হিসাব মিলছে না। মার্চ মাসে একটা সাধারণ সভা হয়। তারপর আর কোনও সাধারণ সভা হল না। পুরপ্রধান সাধারণ সভা করবেন না বলে স্পেশাল মিটিং করেছেন। আমরা বিরোধী দল হিসাবে বলব, টাকা তছরুপের সম্ভাবনার গন্ধ পাচ্ছি এখানে। তাই পুরদফতরের চিঠি জমা দিয়েছি। বলেছি, সাধারণ সভা করতে হবে।” শীলা চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমি সবকিছুই কাউন্সিলরদের চিঠি দিয়ে জানাই। সাধারণ সভা একটা করেছি ঠিকই। আবারও করব।”

Next Article