পুরুলিয়া: ঝালদায় কাউন্সিলর হত্যার ঘটনায় ৫ পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। আপাতত তাঁদের পুরুলিয়া বেলগুমা পুলিশ লাইনে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। তদন্তে জানা যাচ্ছে, ঘটনার দিন ঝালদা বিরশা মোড়ের কাছে তাঁরা নাকা পয়েন্টে ছিলেন। কাউন্সিলর তপন কান্দুতে খুনে অভিযুক্ত তিন আততায়ী একটি কালো বাইকে বিনা বাধাতেই পালাতে সক্ষম হয়। ঘটনার পর থেকেই জেলা পুলিশের দিকে আঙুল তুলছিল পরিবার। তাই জেলা পুলিশের তরফে এই পদক্ষেপ করা হলেও, এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এখনও পর্যন্ত তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবিতেই অনড়। তাঁদের দাবি, আইসি-কে গ্রেফতার করতে হবে।
ফরেনসিক তদন্তকারীরা আসার পরও তাঁরা একই দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন। মৃত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু এ প্রসঙ্গে বলেন, “পাঁচ জনকে ক্লোজ করলেই শুধু হবে না। আই সি-র বিরুদ্ধে সব থেকে বড় অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে।” পূর্ণিমার স্পষ্ট বক্তব্য, সিবিআই চাই, তা না হলে সঠিক তদন্ত হবে না। জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকেও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। কংগ্রেসের তরফেও তদন্তে ব্যাপক ঢিলেমির অভিযোগ উঠেছে। তাঁরাও সিবিআই চাইছেন। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে সতর্ক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হচ্ছে। জেলার বর্ষীয়ান নেতা তথা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সার্বিক তদন্ত হোক। তপন কান্দুর হত্যাকারীরা ধরা পড়ুক। তবে এই হত্যা নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হোক।”
ঝালদায় কাউন্সিলর খুনে রবিবার ঘটনাস্থলে যায় ফরেনসিক টিম। সিট আধিকারিকদের সঙ্গে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। বেলগাছিয়া স্টেট ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাব থেকে ২ টি টিম যায়। ব্যালিস্টিক ও বায়োলজি এক্সপার্টরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই ধরনের তদন্তে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সংগৃহীত নমুনা ও তার রিপোর্ট। কিন্তু প্রশ্ন থাকছেন, আদৌ কি সেই নমুনা খুব বেশি কার্যকরী হবে?