পুরুলিয়া: ঝালদা পৌরসভায় পৌর বোর্ড দখল করল কংগ্রেস। চেয়ারপার্সন হলেন শিলা চট্টোপাধ্যায়। ৭-০ ভোটে জিতে বোর্ড দখল করল কংগ্রেস। হাইকোর্টের নির্দেশে আজ ঝালদায় পৌরপ্রধান নির্বাচন হয়। সকালে ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভার ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর, ১ জন নির্দল কাউন্সিলর এবং ৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলর ঝালদা পৌরসভায় যান। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে থাকলেও তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন।
কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন ও ঝালদা পুরবোর্ড গঠন নিয়ে প্রথম থেকেই জটিলতা তৈরি হয়েছিল। পুরভোটে ঝালদায় ১২টি আসনের মধ্যে সমান সমান ফল করেছিল তৃণমূল এবং কংগ্রেস। পাঁচটি তৃণমূল, পাঁচটি আসন কংগ্রেস পায়। দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পুরবোর্ডের দখল নেয়। এরপর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলে সুরেশ আগরওয়াল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যান। আস্থা ভোটে জয়ী হয় কংগ্রেস। কিন্তু তারপরও বোর্ড গঠন করতে পারেনি।
সরকারের তরফে থেকেই ঝালদা পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তৃণমূলের এক কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকেপ্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়। এই জবা মাছুয়া আবার অপসারিত চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের ঘনিষ্ঠ বলে কংগ্রেসের অভিযোগ ওঠে। টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই ঝালদা পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে শিলা চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করে দেয় কংগ্রেস। উল্লেখ্য, শিলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল প্রার্থী ছিলেন। তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলেন। শীলার কথা মতো, সেখানে ‘যথাযথ সম্মান না পাওয়ায়’ ফের কংগ্রেসকে সমর্থন করেন।
প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রাজ্য সরকারের প্রশাসকের নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। ১৬ জানুয়ারি ঝালদার পৌরপ্রধান নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো সোমবার ঝালদায় পৌরপ্রধান নির্বাচিত হয়।
কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে চেয়ারম্যান নির্বাচন হল। ১১টা থেকে প্রক্রিয়া শুরু হয়। তৃণমূলের এক জন মনে ভোট দিয়েছে। যে ভাবে অগণতান্ত্রিক কাজ হচ্ছিল, তার বিরুদ্ধে মানুষ গর্জে উঠল।”
তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “ভোট প্রক্রিয়া ইলিগ্যাল। এখানে তো ১১টা ব্যালট একসঙ্গে ইস্যু করে দিয়েছি। প্রক্রিয়াতেই গন্ডগোল রয়েছে। আমরা ভোটদান করিনি। ১১ টা ব্যালট ইস্যু হয়েছে, ৭টা ব্যালট সিল হয়েছে. চারটে আমাদের কাছে রয়েছে। আমি ডিএম-কে জানিয়েছি বিষয়টি। হাইকোর্টে মামলাটি বিচারাধীন।”