Purulia Rail Strike: কুড়মি সম্প্রদায়ের টানা ৩০ ঘণ্টারও বেশিক্ষণের রেল-সড়ক অবরোধে রাস্তাতেই পচছে কাঁচা মাল
পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেল স্টেশনে চলছে রেল অবরোধ। যোগাযোগ কার্যত স্তব্ধ। গোটা কুস্তাউর রেল স্টেশনও প্রায় অবরোধকারীদের অধীনে।
পুরুলিয়া: কুড়মি সম্প্রদায়ের রেল অবরোধের জেরে বিপর্যস্ত দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর শাখা ও পূর্ব রেলের আদ্রা শাখার রেল যোগাযোগ। ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেল স্টেশনে চলছে রেল অবরোধ। যোগাযোগ কার্যত স্তব্ধ। গোটা কুস্তাউর রেল স্টেশনও প্রায় অবরোধকারীদের অধীনে। কুড়মি জাতিকে তপশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে তালিকাভুক্ত-সহ তিন দফা দাবিতেই এই রেল অবরোধ। এ প্রসঙ্গে এক বিক্ষোভকারী বক্তব্য,’যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারের থেকে কোনও রকম প্রতিশ্রুতি পাচ্ছি না ততক্ষণ এই অবরোধ চালিয়ে যাব।’ অবরোধের ফলে একাধিক ট্রেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। ব্যাহত রেল চলাচল।
শুধু রেলপথই নয়, জাতীয় সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কুড়মি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। চূড়ান্ত ভোগান্তি সাধারন মানুষের। মানুষের অসুবিধে বুঝতে পেরেও এক প্রতিবাদকারীর কথায়, ‘আমরা কখনও চাই না সাধারন মানুষ অসুবিধার সম্মুখীন হোক। বাধ্য হয়ে আমরা এই অবরোধ কর্মসূচি করছি। আমরা তপশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত ছিলাম, কিন্তু বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনও রিপোর্টে আমাদের বাদ দেওয়ার কারণ নেই।’
অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে কুড়মি সমাজের জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে হাজার হাজার পণ্যবাহী গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে ৬ নং জাতীয় সড়কে। রাস্তার সার বেঁধে দাঁড়িয়ে একের পর এক গাড়ি। কোনওটায় রয়েছে ফল, তো কোনওটায় ফাস্টফুড। বেশিরভাগ গাড়িতেই এমন খাবার রয়েছে যা নির্দিষ্ট সময় পেরোলেই নষ্ট হয়ে যায়। অবরোধের কারণে গাড়ির মধ্যেই পচছে ফাস্ট ফুড-ফল। গাড়ির জিনিস তো নষ্ট হচ্ছেই, পাশাপাশি হঠাৎ অবরোধ হওয়ায় লরিচালকদের খাওয়ার জিনিস ও জলের অভাবও দেখা দিয়েছে। ‘খাবার জল পাচ্ছি না ঠিক মতো। যা জিনিসের দাম কিনেও তো খাওয়া যাচ্ছে না’, জানালেন এক লরি চালক।