Rail Blockade: ৩০ ঘণ্টা পরও চলছে অবরোধ, কোন কোন ট্রেন বাতিল করা হল জানুন
Rail Blockade: মূলত তিনটি দাবি নিয়ে এই অবরোধে বসেছেন কুড়মি সমাজের কর্মীরা। দাবি মানা না হলে অবরোধ চলবে বলে জানানো হয়েছে।
পুরুলিয়া: কুড়মি জাতিকে তফশিলী উপজাতি তালিকাভুক্ত করা ও আরও কয়েকটি দাবিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সকাল থেকেই খড়্গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে রেল অবরোধ করেন কুড়মি মাহাতো সমাজ। অবরোধ করা হয় পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেল স্টেশনেও। ৩০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনও চলছে সেই রেল অবরোধ। দাবি না মানা হলে আপাতত রেল অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছেন আদিবাসী কুড়মী সমাজের সদস্যরা। এই অবরোধের জেরে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। অবরুদ্ধ হয়ে আছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশন।
বুধবার সকাল থেকেই খেমাশুলি এলাকায় মিছিল শুরু করেছেন কুড়মি সংগঠনের মানুষজন। তাঁদের দাবি, যতদিন পর্যন্ত না তাঁদের দাবি পূরণ করা হবে ততদিন রেল ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিপর্যস্ত হয়েছে যান চলাচল ও রেল পরিষেবা।
বিক্ষোভের জেরে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আবার কোনও কোনও ট্রেন ঘুরপথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাতিল করা হয়েছে চক্রধরপুর-টাটানগর প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, টাটানগর-খড়্গপুর প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, খড়্গপুর-ঝাড়গ্রাম মেমু স্পেশাল, খড়্গপুর-টাটানগর মেমু স্পেশাল, ঝাড়গ্রাম-ধানবাদ এক্সপ্রেস, আদ্রা-বরকাকানা মেমু প্যাসেঞ্জার, আসানসোল-রাঁচি মেমু প্যাসেঞ্জার।
মূলত তিনটি দাবি রয়েছে কুড়মি সমাজের। কুড়মি জাতিকে তফশিলী উপজাতি তালিকাভুক্ত করতে হবে, কূড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ও সারনা ধর্মের সরকারি কোড চালু করতে হবে।
সূত্রের খবর, রেল অবরোধ যাতে উঠে যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে বিভিন্ন স্তরে। তবে এখনও কোনও লিখিত আশ্বাস দেওয়া হয়নি বিক্ষোভকারীদের। তাই পরিস্থিতি ঠিক কখন স্বাভাবিক হবে, তা স্পষ্ট নয়।