Purnima Kandu: ‘নিজে বিষ খেলে তো সুইসাইড নোট থাকত’, তদন্তকারীদের সবটা বলতে চান মিঠুন কান্দু
Purnima Kandu: ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পর আবারও মুখ খুললেন তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে একটি চিঠি সামনে আনা হয়েছে, সেখানে গত ১ অক্টোবর রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি ও জেলার পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন পূর্ণিমা কান্দু।
পুরুলিয়া: নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট ঘিরে বাড়ছে জল্পনা। দুর্গা পুজোর নবমীর রাতে পূর্ণিমা কান্দুর আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। আর রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তাঁর পেটে ক্ষতিকারক পদার্থের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। আর তা নিয়েই রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ফরেনসিক তদন্তের জন্য বাড়ির যে ঘরে পূর্ণিমা কান্দু ঘুমিয়ে ছিলেন, সেই ঘরটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। এবার ফের তাঁর মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর দেওয়রপ মিঠুন কান্দু।
পূর্ণিমার মৃত্যুর পরের দিন অর্থাৎ ১২ অক্টোবর সকালেই পূর্ণিমা কান্দুর দেওরপ মিঠুন কান্দু অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর কাকিমাকে স্লো পয়জন করে খুন করা হয়েছে। তাঁর কাকা অর্থাৎ নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে, সেই টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য পূর্ণিমাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পর আবারও মুখ খুললেন তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে একটি চিঠি সামনে আনা হয়েছে, সেখানে গত ১ অক্টোবর রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি ও জেলার পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন পূর্ণিমা কান্দু।
মিঠুন কান্দু বলেন, “আমার প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল। উনি যদি নিজে বিষ খেয়ে থাকতেন তাহলে সুইসাইড নোট পাওয়া যেত। আমি তদন্তকারী দলের কাছে সবকিছু বলব। কাকিমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেখা হোক, মোবাইল দেখা হোক।
ঝালদা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়েল এই প্রসঙ্গে বলেন, “সম্পূর্ণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।” নিরাপত্তা সংক্রান্ত চিঠি সম্পর্কেও তিনি কিছু জানেন না।