পুুরুলিয়া: পুরুলিয়ার বরাবাজারে কুমারী নদীর চর থেকে বালি চাঁপা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মহিলার পরিচয় জানা গেল। তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা পুরুলিয়া শহর থেকে বাসে উঠেছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে পুরুলিয়া শহরের বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে পুরুলিয়া-মানবাজার রুটের মা দুর্গা বাসে টিকিট কেটে উঠে বসেন। ৬০টাকা দিয়ে দুয়ারসিনি যাওয়ায় জন্য টিকিট কাটে, তার জন্য ১৮নম্বর সিটটি বরাদ্দ করা হয়। দুয়ারসিনি প্রযন্ত টিকিট কাটলেও মহিলা বরাবাজার থানার সিন্ধরি বাস ষ্ট্যান্ড ঢোকার আগেই ফতেপুর গ্রামের আগেই বাস থেকে নেমে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। বিকাল ৩টা ৪০মিনিটে বাস পুরুলিয়া বাস ষ্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যান। সিন্দ্রি বাস স্ট্যান্ডে যখন মহিলা বাস থেকে নামে তখন সময় প্রায় সাড়ে ৬টা।
দেহ উদ্ধার করার সময় পুলিশ বাসের একটি টিকিট উদ্ধার করে। সেই টিকিটের সূত্র ধরেই মা দুর্গা বাসের কর্মীদের ইতিমধ্যেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। যেহেতু মহিলার টিকিট কাটা ছিল দুয়ারসিনি পর্যন্ত, সেখান না গিয়ে আগেই কেন নেমে পড়েন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই মহিলা বাসের কন্ডাক্টরকে জানিয়েছিলেন, তাঁর দাদা সেখানে অপেক্ষা করছে। যদিও পুলিশ কন্ডাক্টরের কাছ থেকে জানতে পারেন, সেখানে কাউকে সেদিন দেখতে পাননি। কিন্তু পুলিশ মনে করছে, ওই এলাকাতেই মহিলার জন্য কেউ বা কারা অপেক্ষা করছিলেন। তাঁরাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ।
৫দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও এই খুনের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। পুরুলিয়া শহরের বাস ষ্ট্যান্ড থেকে মহিলা বাসে উঠলেও, প্রশ্ন মহিলার বাড়ি পুরুলিয়া জেলার মধ্যে পড়ে, না পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে?
পুলিশ বলছে, যেভাবে দেহ বালি চাপা দেওয়া অবস্থায় ছিল, সেটা করা কারোর এক জনের পক্ষে সম্ভব নয়। এই এলাকা নির্জন হওয়ার তথ্য স্থানীয় লোকজন ছাড়া বাইরের লোকের পক্ষেও জানা সম্ভব নয়। তাই মনে করা হচ্ছে এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত থাকতে পারে।