Purulia: স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেও বেঁচে যান, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত
Purulia: খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালের ২১ জুলাই। রঘুনাথপুর থানার বাবুগ্রাম শ্মশানের কাছে। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সুধাংশু কুম্ভকার তাঁর স্ত্রী মঞ্জু কুম্ভকারকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে খুন করে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
পুরুলিয়া: স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দিলেন বিচারক। রঘুনাথপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায় এই রায় দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আদালতের বাইরে গোটা ঘটনাটি উল্লেখ করেন।
খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালের ২১ জুলাই। রঘুনাথপুর থানার বাবুগ্রাম শ্মশানের কাছে। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সুধাংশু কুম্ভকার তাঁর স্ত্রী মঞ্জু কুম্ভকারকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে খুন করে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। রঘুনাথপুর থানা এলাকার ওই দম্পতি ১৯৯৮ সালে চলে গিয়েছিলেন বীরভূমের রামপুরহাটের কালিদাসী আশ্রমে।সেখানেই থাকতেন তাঁরা। ২০২০ সালে লক ডাউনে আশ্রমের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে পরের বছর ২০২১ সালে ফিরে আসেন রঘুনাথপুর এলাকায়।
কাজের কোন সুযোগ না পেয়ে স্থির করেছিলেন দুজনেই আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু স্ত্রীকে মেরে ফেললেও নিজে বেঁচে যান সুধাংশু। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।রঘুনাথপুর আদালতের তৎকালীন বিচারবিভাগীয় বিচারক (প্রথম শ্রেণি)দেবাশিস বর্মনের কাছে স্ত্রীকে খুন করার বিষয়ে গোপন জবানবন্দিতে দেন। সেখানে ঘটনা স্বীকার করেছিলেন সুধাংশু। ওই বিচারক ও বিচারপক্রিয়াতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।