AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purulia Student Death: হস্টেলের ঘর ঝুলছে নবম শ্রেণির ছাত্রের দেহ! উত্তাল পরিস্থিতি পুরুলিয়ায়

Purulia News: ঘটনা পুরুলিয়ার কেন্দা থানার অন্তর্গত। রবিবার সন্ধ্যায় শেষবার দেখা গিয়েছিল নিহত নাবালককে। ছুটির দিনে কোচিংয়ে গিয়েছিল সে। তারপর ফিরে এসে নিজের ঘরেই চলে যায় ওই নবম শ্রেণির পড়ুয়া। এতক্ষণ অবধি সবটাই ছিল স্বাভাবিক। উত্তেজনা ছড়ায় রাতের দিকে। হস্টেলের ১২ নং ঘর থেকে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। আত্মহত্যা নাকি খুন?

Purulia Student Death: হস্টেলের ঘর ঝুলছে নবম শ্রেণির ছাত্রের দেহ! উত্তাল পরিস্থিতি পুরুলিয়ায়
পুরুলিয়ায় উত্তেজনাImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2025 | 2:38 PM
Share

পুরুলিয়া: ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পুরুলিয়ায়। সেখানে একটি বেসরকারি স্কুলের হস্টেল থেকে উদ্ধার হল নবম শ্রেণির পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। যা ঘিরে সোমবার পারদ চড়ল এলাকায়। অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে গেল পুলিশ। অভিযোগ উঠল স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধেও।

ঠিক কী ঘটেছে?

ঘটনা পুরুলিয়ার কেন্দা থানার অন্তর্গত। রবিবার সন্ধ্যায় শেষবার দেখা গিয়েছিল নিহত নাবালককে। ছুটির দিনে কোচিংয়ে গিয়েছিল সে। তারপর ফিরে এসে নিজের ঘরেই চলে যায় ওই নবম শ্রেণির পড়ুয়া। এতক্ষণ অবধি সবটাই ছিল স্বাভাবিক। উত্তেজনা ছড়ায় রাতের দিকে। হস্টেলের ১২ নং ঘর থেকে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। আত্মহত্যা নাকি খুন? এই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা। কিন্তু এই বয়সে কেউ আত্মঘাতীই বা কেন হলেন? সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।

পরিবারের অভিযোগ, তাঁদেরকে খবর দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অন্য পড়ুয়াদের থেকে গোটা ব্যাপারটা জেনে ঘটনাস্থলে যায় তাঁরা। এদিন নিহত নাবালকের মা বলেন, ‘আমরা ওর বন্ধুদের মুখে শুনলাম, ওকে নাকি শনিবার স্কুলের এক শিক্ষক খুব মেরেছে। সেই কারণেই রবিবার অন্য় পড়ুয়ারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। তারপরই দেখে এমন কাণ্ড ঘটে গিয়েছে।’

একই দাবি অন্য পড়়ুয়াদেরও। স্কুলের এক শিক্ষক ওই নাবালককে ধরে মারধর করেছিলেন বলেই অভিযোগ তাঁদের। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়দের নিয়ে স্কুলের কাছে জড়ো হয় নিহত নাবালকের পরিবার। চলে বিক্ষোভ। পেটানো হয় সেই শিক্ষককে। তখনই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। সামাল দেয় উন্মত্ত জনতাকে। বর্তমানে এই স্কুলে নার্সারি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয়। মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৬০০ জন। তার মধ্য়ে ৪০০ জন পড়ুয়া হস্টেলের আবাসিক। নাবালকের মৃত্যু ঘিরে সেখানে আতঙ্কের ছবি। ছেলেমেয়েদের হস্টেল থেকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। চোখে-মুখে আতঙ্ক তাঁদের। মুহুর্তেই ফাঁকা হয়ে গিয়েছে গোটা হস্টেল চত্বর।