পুরুলিয়া : রঘুনাথপুর পুরসভার বাইরে টাঙানো তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানার। একুশে জুলাই ধর্মতলা যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেই ব্যানার টাঙানো। আর, সেই ব্যানার নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতর। কী রয়েছে ব্যানারে? মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছাড়া ওই ব্যানারে থাকা অন্যদের ছবি সাদা কাগজ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
একুশে জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে রঘুনাথপুর শহরে একাধিক জায়গায় লাগানো হয়েছে ব্যানার। আর সেই ব্যানারগুলিতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছাড়া জেলা নেতাদের ছবিগুলি ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ব্যানারে ছবি ছিল জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, রঘুনাথপুর পুরসভার পুরপ্রধান তরণী বাউরি এবং রঘুনাথপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি বিষ্ণুচরণ মেহেতার। এমনকি সৌজন্য ও প্রচারে যাঁদের নাম ছিল সেটাও ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর শহরে একাধিক পোস্টারে দেখা গেল এরকমই চিত্র।
আর এই প্রচার ব্যানারকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ব্যানারে অন্যদের নাম ও ছবি ঢাকা দেওয়ার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি বাণেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতেই নিজেদের ছবি ঢাকতে হচ্ছে।”
বিজেপির কটাক্ষকে গুরুত্ব দিচ্ছে না শাসক দল। রঘুনাথপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি বিষ্ণুচরণ মেহেতা বলেন, “রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কারও ছবি ব্যানারে থাকবে না। দলীয় শৃঙ্খলা মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ছোট হওয়ার বিষয় নয়।” প্রশ্ন উঠছে,ব্যানারে স্থানীয় নেতার ছবি না থাকার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হলেও কেন ছবি রাখা হয়েছিল? এই নিয়ে তাঁর যুক্তি, স্থানীয় কর্মীরা ব্যানার তৈরি করেছে। বিষয়টি নজরে আসার পরই মমতা ছাড়া অন্যদের ছবি ঢেকে দেওয়া হয়।
বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করে তৃণমূল এই নেতা বলেন, “বিজেপির কথা যত কম বলা যায় ততই ভাল। তাদের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। এসব বলে ভেসে থাকতে চাইছে।”