Jhalda Councillor Murder: শপথের দিন শাড়ি ধরে টানাটানি করেছে পুলিশ, বিস্ফোরক অভিযোগ নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রীর
Jhalda: পুলিশসুপারকে ইমেল মারফৎ অভিযোগ জানিয়েছেন পূর্ণিমা কান্দু। যদিও এ নিয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পুরুলিয়া: ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু এবার পুলিশি হেনস্থা নিয়ে সরব হলেন। ঝালদায় (Jhalda) পুরবোর্ড গঠনের দিন তাঁকে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য পুলিশসুপারের (SP) কাছে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ জানালেন তিনি। ইমেল মারফৎ এই অভিযোগ জানিয়েছেন পূর্ণিমা। তাঁর অভিযোগ, ঝালদা পুরসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় তাঁর উপর পুলিশ হামলা করে। অতিরিক্ত পুলিশসুপার-সহ অন্যান্য পুলিশকর্মীদের কথা উল্লেখ করেই এই চিঠি লেখেন পূর্ণিমা কান্দু (Purnima Kandu)। প্রসঙ্গত, পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর। গত ৫ এপ্রিল নির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। বোর্ড গঠনও হয় সেদিন। এদিকে কংগ্রেসের তরফে এদিন কালা দিবস কর্মসূচি পালন করা হয়। কালো পতাকা, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করে তারা।
অভিযোগ, মিছিলটি পুরসভার সামনে আসতেই তা আটকে দেয় পুলিশ। সেই সময় পুলিশি হেনস্থার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ তোলেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী। সেই বিষয়েরই উল্লেখ করেন তিনি চিঠিতে। পূর্ণিমার বক্তব্য, শপথগ্রহণের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে সমস্ত কাউন্সিলরের। সেইমত তিনি পুরসভার গেটের সামনে যেতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। পুলিশের সেই সময় যে ভূমিকা ছিল তা কখনওই কাম্য নয় বলে দাবি পূর্ণিমার।
পূর্ণিমা কান্দু বলেন, “আমরা যখন বোর্ড গঠনের জন্য যাই পুলিশ আটকে দিয়েছে। আমার সঙ্গে আরও কংগ্রেস কর্মী ছিলেন। মানছি, কর্মীদের ঢুকতে দেবে না। কিন্তু আমাকে তো আটকাতে পারে না। আমি তো কাউন্সিলর। আমার সঙ্গে আরও তিনজন কাউন্সিলর ছিলেন। কাউকে পুরসভার ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে, হাত ধরে টানাটানি, শাড়ি ধরে টানাটানি করেছে। আমিও পুলিশসুপারকে জানিয়েছি। অতিরিক্ত জেলাশাসকের নামেও অভিযোগ জানিয়েছি।” পূর্ণিমা কান্দুর অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে ঝালদা থানার ক্লোজ হওয়া যে পুলিশকর্মীরা ঘটনার দিন পেট্রোলিংয়ের গাড়িতে ছিলেন, সেই গাড়ির চালক গণেশচন্দ্র গড়াইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় সিবিআই ক্যাম্পে। এদিন হাজিরও হন তিনি। সূত্রের দাবি, ঘটনাস্থলের খুব কাছেই সেদিন পুলিশের গাড়ি ছিল। তাহলে কেন ঘটনাস্থলে পুলিশ গেল না, তা জানতে চায় সিবিআই।
আরও পড়ুন: TMC Party Office: তৃণমূলের পার্টি অফিসে ‘মেয়ে নিয়ে আড্ডা, মদ-জুয়ার আসর’, বিস্ফোরক দলেরই কাউন্সিলর
আরও পড়ুন: Kankinara Blast: লেডিজ ব্যাগে বোমা, রেললাইনে ছুঁড়তেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ