পুরুলিয়া: পানীয় জলের (Drinking Water) সঙ্কট। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ তুলে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের মহিলারা। পুরুলিয়া-১ ব্লকের (Purulia) কোটলোই গ্রামের এই ঘটনা। এই গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে কংসাবতী। অথচ এই গ্রামের মানুষ পানীয় জলটুকু পান না বলে অভিযোগ। খাবার জল দূর থেকে মাথায় করে বয়ে নিয়ে আসতে হয় আজও। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু গরমকাল নয়, শীতকালেও তাঁদের দুর্ভোগ মোটে কমে না। গত কয়েক বছর ধরে টানা এই সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় নলকূপ বসেছে। তবে সেখান থেকে যে জল আসে তা পান করা যায় না। গ্রামের অদূরে একটা পুকুর রয়েছে, তাও মজে গিয়েছে সংস্কারের অভাবে। তাঁরা জানান, বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান হোক বা পুজোআর্চা, ওই জলই ভরসা। তাও পাওয়া যায় না। বিডিওর বক্তব্য, বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তিনি।
এলাকার বাসিন্দা বসুমাতা সেনের কথায়, “পানীয় জলটুকু নেই। বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান করার সাহস পাই না, জলের অভাবে চলবে কীভাবে? মাথায় করে দূর থেকে জল বয়ে আনি, তবে জল খাই। কোনওভাবে শরীর খারাপ হলে হাতের কাছে একটু জল পাব না। কেন গ্রামে টাইম কলের ব্যবস্থা থাকবে না? সব জায়গায় রয়েছে, আমাদের নেই।”
আরেক এলাকাবাসী মামনি দত্ত বলেন, “নদী থেকে আমরা জল নিয়ে আসি। মাথায় করে বয়ে আনতে খুবই কষ্ট হয়। ওখানে যে পুকুর আছে সেটাও ব্যবহারযোগ্য করা দরকার। ওই জলেই সব হয়। মঙ্গল অনুষ্ঠান সব হয়। আমরা আগেও বিডিওকে সমস্যার কথা বলি। আজও বললাম। ভোটের সময় সকলে এসে বলে কাজ হবে। কিন্তু তারপর আর কেউ করে না।”
যদিও এ বিষয়ে বিডিও জানান, এই প্রথমবার এমন অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিডিও অনিরুদ্ধ ঘোষের কথায়, “ওনারা বলছেন ওনাদের গ্রামের ব্যবহারের যে পুকুর তা মজে গিয়েছে। আমি যেটা শুনলাম ওটা কারও ব্যক্তিগত পুকুর। আমি ওনাদের বলেছি দরখাস্ত দিতে। সেচ দফতরের একটা বিশেষ ফর্ম আছে। সেই ফর্মে দরখাস্ত করে সেচ দফতরে পাঠানো গেলে ওখান থেকে হতে পারে। ওখানে টিউবয়েলও হয়েছে। কিন্তু জল কমে যাচ্ছে। ওনাদের সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝলাম পুকুরটা নিয়ে ওনাদের সমস্যা বেশি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”