রঘুনাথপুর: কয়েক সপ্তাহ আগে লাগাতার সদ্যজাতের (newborn) মৃতদেহ উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল হাওড়ায়। এবার কার্যত একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল পুরুলিয়ার (Purulia) রঘুনাথপুরে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে রঘুনাথপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত চাঁদাগড়িয়া এলাকায় পুকুর পাড়ে এক সদ্যজাত শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। কাছে যেতে বোঝা যায় শিশুটির শরীরে প্রাণ নেই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান মৃত শিশুটি আদপে পুত্র সন্তান। এই খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর যায় পুলিশ। কোথা থেকে কীভাবে মৃত শিশুটি ওখানে এল সে ব্যাপারে তৈরি হয় ধোঁয়াশা।
খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রঘুনাথপুর থানার পুলিশ কর্মীরা। তাঁরাই মৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। কে বা কারা শিশুটিকে ওখানে ফেলে গিয়েছে সে ব্যাপারে তদন্তও শুরু হয়েছে। তবে শিশুটির অবস্থা দেখে স্থানীয়দের অনুমান প্রসবের পরই ফেলে দেওয়া হয়েছে শিশুটিকে। এমনকী তার মৃ্ত্যুর পরেও বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে বলে অনুমান। ইতিমধ্যেই শিশুটির দেহে পচনও ধরে গিয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। যে কারণে দুর্গন্ধও ছাড়াতে শুরু করে এলাকায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে মঞ্জু বাউরি বলেন, “আমি পুকুর গিয়েছিলাম। তখনই পাড়ে দেখি বাচ্চাটা পড়ে রয়েছে। পাড়ার অন্যান্যদের দেখে দেখাই। সকলেই বুঝতে পারে ওটা আদপে একটা সদ্যজাতের মৃতদেহ। তারপরই পুলিশকে ফোন করা হয়। পুলিশ এসে বাচ্চাটির দেহ নিয়ে যায়। যারা এ ধরনের কাজ করেছে তাঁরা কখনওই ঠিক করেননি।” আর এক বাসিন্দা রিতু গড়াই বলেন, “পুকুরে এলাকারই এক বাসিন্দা গিয়েছিল। তখনই প্রথম মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারপরেই ও সবাইকে ডাকে। আমরা গিয়ে দেখি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাচ্চাটির দেহ।”