পুরুলিয়া: ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। তার আগে জেলায় জেলায় চলছে প্রচার কর্মসূচি। নবান্ন অভিযানের প্রচারের উদ্দেশে শনিবার পুরুলিয়া শহরে বিজেপির একটি মিছিল ও পথসভার আয়োজন করা হয়। সেখান থেকেই ফের একবার তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষবাণ শানাতে দেখা গেল বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh)। “ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) তদন্ত যেভাবে এগোচ্ছে, অনেক নেতা এবারে দুর্গাপুজো দেখতে যেতে পারবেন না, জেলে থাকতে হবে।” পুরুলিয়া বিজেপির দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে ঠিক এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন দিলীপ।
এদিন বিজেপির কর্মসূচীতে দিলীপ ছাড়াও যোগ দেন বিজেপি নেত্রী লকেট চ্যাটার্জীও। ছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙ্গা, পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, সহ বিজেপির অন্যান্য নেতাকর্মী সমর্থকরা। এদিন পুরুলিয়া শহরের রেল স্টেশন থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহরের একাংশ পরিক্রমা করে হাটের মোড় পর্যন্ত যায়। সেখানেই একটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ, লকেট চ্যাটার্জী সহ জেলার নেতারা। পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিলীপ বলেন, “ইডি সিবিআই যেভাবে তদন্তে এগোচ্ছে অনেক নেতা দুর্গাপুজো দেখতে যেতে পারবেন না। গাড়ি করে বউ বাচ্চা নিয়ে প্যান্ডেলে ঘুরতে পারবেন না। জেলে থাকতে হবে। বউ বাচ্চাকে দেখা করতে জেলে যেতে হবে। পুজোর মার্কেটিং করতে পারবেন না, জেলের মধ্যে দুর্গাপুজো করতে হবে। সেই দিন আসছে”।
দিলীপের পাশাপাশি তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে লকেটকেও। লকেট বলেন, ” শান্তিরাম মাহাতো, সন্ধ্যারানি টুডু কেউ ছাড় পাবে না।সিবিআই ইডিকে আমরা সম্মান দিই। তদন্ত করে আসল সত্য বের করে আনবে। যারা চুরি-ডাকাতি করেছে কেউ ছাড় পাবে না। ” তবে এই প্রথম নয় কিছুদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাঁতনে এক জনসভায় দিলীপ বলেন, “কোনও ভোটের জন্য নয়। ভোট চাইতে আসিনি। ভোট এখন নেই। হয়তো ডিসেম্বরের পরে বিধানসভা ভোটটা আবার হতেও পারে। দিদিমণির যদি বিসর্জন হয়ে যায় তখন ভোট চাইতে আসব।” তাঁর এ মন্তব্য নিয়েও বিস্তর চাপান-উতর হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে গরু পাচার থেকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় যেভাবে একের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী ইডি-সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হচ্ছেন তাতে দিলীপের এ মন্তব্যে নতুন সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন অনেকেই। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশের।