Dubrajpur Police: অনুব্রতে অতি সক্রিয়, সাধারণে নিষ্ক্রিয়! ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুরবারপুর পুলিশের ‘উলটপুরাণ’ আচরণ!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Dec 21, 2022 | 3:54 PM

Police Action: পুলিশ ঘটনাস্থলের কাছে গেলেও মারধরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। বুধবারের এই ঘটনা নিয়েই প্রশ্নের মুখে দুবরাজপুর পুলিশের ভূমিকা।

Dubrajpur Police: অনুব্রতে অতি সক্রিয়, সাধারণে নিষ্ক্রিয়! ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুরবারপুর পুলিশের ‘উলটপুরাণ’ আচরণ!

Follow Us

দুবরাজপুর: অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবেন ইডি। দিল্লির আদালত এই নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৃথক একটি খুনের চেষ্টা মামলায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার অনুব্রতকে গ্রেফতার করে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পুলিশ। আদালতে আবেদন করে তাঁকে পুলিশি হেফাজতেও রাখে। অনুব্রতের দিল্লি যাওয়া রুখতেই কী বীরভূম পুলিশের অতি সক্রিয়তা? এই প্রশ্ন যখন ঘোরাফেরা করছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে, তখন দুবরাজপুর থানার অতি সক্রিয়তার মধ্যে আবার নিষ্ক্রিয়তার ছবি ধরা পড়ল টিভি৯ বাংলার ক্যামেরায়। পারিবারিক বিবাদের জেরে এক বৃদ্ধাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মারের জেরে ওই বৃদ্ধার মাথাও ফেটেছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাতে এলে অভিযোগ নেওয়ার বদলে পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার পরামর্শ দেয় বলে অভিযোগ। আহত বৃদ্ধা ও তাঁর সঙ্গে আসা লোকেদের আরও অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলের কাছে গেলেও মারধরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। বুধবারের এই ঘটনা নিয়েই প্রশ্নের মুখে দুবরাজপুর পুলিশের ভূমিকা।

বুধবার সকালে দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত দোবান্দা গ্রামের বাসিন্দা আনারা বিবি। বয়স্ক আনারা ও তাঁর পরিবারের লোকেদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু থানায় এলে অভিযোগ দায়ের না করে পুলিশ চিকিৎসা করাতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। ঝামেলা না বাড়ানোর পরামর্শও পুলিশ দিয়েছে বলে অভিযোগ। আহতদের আরও অভিযোগ, মারামারি সময় পুলিশ সেখানে থাকলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এ নিয়ে আনারা বিবি বলেছেন, “আমাদের কিছুই বলল না। আমাদের মারধর করেছে। পুলিশকে বলেছি। আমরা বাড়িতে শান্তিতে থাকতে পারছি না। পুলিশ হাসপাতালে যেতে বলল।”

দুবরাজপুর পুলিশের এই ভূমিকা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুরের মারধরের অভিযোগে জেনারেল ডায়েরির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইডি হেফাজতে থাকা অনুব্রতকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হল। আহত বৃদ্ধার ক্ষেত্রেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সেক্ষেত্রে থানায় এলে উদাসীন পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, দুবরাজপুরের পুলিশের ভূমিকায় এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন? দুবরাজপুর থানার আধিকারিকের বক্তব্য, “পারিবারিক ঝামেলা। লিখিত অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Next Article