উত্তর ২৪ পরগনা: চিটফান্ড মামলায় অবশেষে অন্তর্বর্তী জামিনে নিজের কর্মস্থল ও বাসভবন হালিশহরে ফিরলেন হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি। তিনি বলেন, “সিবিআই যদি আবার ডাকে, তিনি আবার যাবেন এর আগেও ডেকেছে। এটা নিয়ে আমার কোন চিন্তা নেই। ওরা যেটা পেয়েছিল. সেটা আমার বাড়িতে অরজিনালটাই ছিল। আমি কোন চুরি বা কারসাজি করিনি। যা সহযোগিতা করতে হয় আমি করব।” দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দলের নির্দেশ যেমন আসবে, আমি সেভাবেই কাজ করব। এখনও পর্যন্ত দল আমায় কোন নির্দেশ দেয়নি অপেক্ষায় আছি। পৌরসভা যদি আবার আমাকে দায়িত্ব দেয়, তবে আবার রাস্তায় নামবো। মানুষের যাতে প্রত্যেকটা কাজ আমরা সম্পন্ন করতে পারি।”
এদিনের জামিনের পর দলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। হালিশহরবাসীকে ধন্যবাদ জানান। তাঁর কথায়, “যে বিশ্বাস মানুষ ও দল আমার প্রতি রেখেছে, মানুষের মনের মাঝে যে পৌঁছতে পেরেছি, এটা আমার কাছে অনেক। আমি কোন ভুল করিনি সততার জয় হবে আর সেটাই হয়েছে।”
গত ৩ সেপ্টেম্বর বর্ধমান সন্মার্গ চিটফান্ড মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে রাজু সাহানিকে। সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নেয়। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে। এই মামলায় ২০১৪ সালে চারটি এফআইআর হয়েছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানায়। পরবর্তী কালে আদালতে নির্দেশে ২০১৮ সাল থেকে এই মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু করে। তারা আলাদা করে একটি মামলা করে। তাতেই গ্রেফতার করা হয় রাজু সাহানিকে। সিবিআই-এর দাবি, হংকং, ব্যাঙ্কক-সহ তাইল্যান্ডে রাজুর ৩টি সংস্থার হদিস মিলেছিল। রাজুর বাড়ি, রিসর্ট থেকেও উদ্ধার হয়েছে ৮০ লক্ষ টাকা। রাজুরই ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিং। সেক্ষেত্রে বেসরকারি এই অর্থলগ্নি সংস্থার টাকা তাঁর ব্যবসার খাতেও কাজে লেগেছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।