সাহিত্য চর্চার জন্য তেত্রিশ বছর কর্মজীবনে পদোন্নতি নেননি পদ্মশ্রী কালীপদ সোরেন

TV9 Bangla Digital | Edited By: Shubhendu Debnath

Jan 27, 2022 | 2:19 PM

Padma Shri Award 2022: কর্ম জীবন শুরু করেন কলকাতার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। চাকরির পাশাপাশি চলে সাহিত্যকর্মও। ১৯৮৪ সালে ‘রিমিল’ একটি সাঁওতালি ভাষায় পত্রিকা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর বাবা তারাচাঁদ সোরেন ছিলেন ঝাড়গ্রামের জমিদারের আমিন।

1 / 5
এ বছর সাঁওতালি সাহিত্যে অবদানের জন্য পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হলেন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা কালীপদ সোরেন। যদিও সাহিত্যের জগতে তাঁর পরিচিতি ‘খেরওয়াল সরেন’ ছদ্মনামে। জীবনে নানা পুরস্কারে সম্মানিত খেরওয়াল সরেন দুবার সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কারও পেয়েছেন। আজ জেনে নেব এই সাহিত্যিকের কিছু অজানা কথা।

এ বছর সাঁওতালি সাহিত্যে অবদানের জন্য পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হলেন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা কালীপদ সোরেন। যদিও সাহিত্যের জগতে তাঁর পরিচিতি ‘খেরওয়াল সরেন’ ছদ্মনামে। জীবনে নানা পুরস্কারে সম্মানিত খেরওয়াল সরেন দুবার সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কারও পেয়েছেন। আজ জেনে নেব এই সাহিত্যিকের কিছু অজানা কথা।

2 / 5
কালীপদ সোরেনের জন্ম ১৯৫৭ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রাম মহকুমার রঘুনাথপুরে। নিজের চেষ্টায় পড়াশোনা চালিয়ে ১৯৭৭ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। সেবা ভারতী কলেজ থেকে এরপর তিনি ১৯৮১ সালে স্নাতক হন। কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর হন তিনি।

কালীপদ সোরেনের জন্ম ১৯৫৭ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রাম মহকুমার রঘুনাথপুরে। নিজের চেষ্টায় পড়াশোনা চালিয়ে ১৯৭৭ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। সেবা ভারতী কলেজ থেকে এরপর তিনি ১৯৮১ সালে স্নাতক হন। কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর হন তিনি।

3 / 5
কর্ম জীবন শুরু করেন কলকাতার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। চাকরির পাশাপাশি চলে সাহিত্যকর্মও। ১৯৮৪ সালে ‘রিমিল’ একটি সাঁওতালি ভাষায় পত্রিকা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর বাবা তারাচাঁদ সোরেন ছিলেন ঝাড়গ্রামের জমিদারের আমিন। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কর্মী কালীপদ সোরেনের বিয়ে হয় মাকুরানী সোরেনের সঙ্গে। তাঁদের তিন সন্তান।

কর্ম জীবন শুরু করেন কলকাতার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। চাকরির পাশাপাশি চলে সাহিত্যকর্মও। ১৯৮৪ সালে ‘রিমিল’ একটি সাঁওতালি ভাষায় পত্রিকা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর বাবা তারাচাঁদ সোরেন ছিলেন ঝাড়গ্রামের জমিদারের আমিন। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কর্মী কালীপদ সোরেনের বিয়ে হয় মাকুরানী সোরেনের সঙ্গে। তাঁদের তিন সন্তান।

4 / 5
শুধু মাত্র সাহিত্য চর্চা করবেন বলে বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত কালীপদ সোরেন ৩৩ বছর কোনও পদোন্নতি নেননি কর্মজীবনে। প্রথমবার ২০০৭ সালে ‘চেৎরে চিকায়েনা’ নাটকের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। এরপর বিখ্যত সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিতের 'অনুভব' উপন্যাসটি সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদ করেন, যার জেরে ২০১৯ এ সেরা অনুবাদক হিসেবে দ্বিতীয়বার পান সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার।

শুধু মাত্র সাহিত্য চর্চা করবেন বলে বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত কালীপদ সোরেন ৩৩ বছর কোনও পদোন্নতি নেননি কর্মজীবনে। প্রথমবার ২০০৭ সালে ‘চেৎরে চিকায়েনা’ নাটকের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। এরপর বিখ্যত সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিতের 'অনুভব' উপন্যাসটি সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদ করেন, যার জেরে ২০১৯ এ সেরা অনুবাদক হিসেবে দ্বিতীয়বার পান সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার।

5 / 5
এই সাহিত্যিক পণ নিয়েছেন সাঁওতালি সমাজকে নেশা মুক্ত করার। তাঁর বক্তব্য, যদি সাঁওতালি সমাজ হাঁড়িয়া এবং মদ বর্জন না করতে পারে তাহলে এই আদিবাসী জনজাতি ধীরে ধীরে বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাবে। পদ্মশ্রী এবং অকাদেমী ছাড়াও পেয়েছেন ১৯৯২ সালে সারা ভারত সাঁওতালি লেখক সংগঠনের পুরস্কার, ২০০৪ এ পান রঘুনাথ মূর্মূ ফেলোশিপ, ২০১২ সালে পান অনগ্রসর কল্যাণ বিভাগের পুরস্কার, ২০১৫য় পেয়েছেন সাঁওতালি চলচ্চিক সমিতির লাইফটাইম পুরস্কারও।

এই সাহিত্যিক পণ নিয়েছেন সাঁওতালি সমাজকে নেশা মুক্ত করার। তাঁর বক্তব্য, যদি সাঁওতালি সমাজ হাঁড়িয়া এবং মদ বর্জন না করতে পারে তাহলে এই আদিবাসী জনজাতি ধীরে ধীরে বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাবে। পদ্মশ্রী এবং অকাদেমী ছাড়াও পেয়েছেন ১৯৯২ সালে সারা ভারত সাঁওতালি লেখক সংগঠনের পুরস্কার, ২০০৪ এ পান রঘুনাথ মূর্মূ ফেলোশিপ, ২০১২ সালে পান অনগ্রসর কল্যাণ বিভাগের পুরস্কার, ২০১৫য় পেয়েছেন সাঁওতালি চলচ্চিক সমিতির লাইফটাইম পুরস্কারও।

Next Photo Gallery