দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাড়ির ভিতর থেকে চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। ওই বাড়ি থেকে এমনিতেই মা-ছেলের ঝামেলা লেগেই থাকে, প্রতিবেশীরা তা ভালভাবেই জানতেন। তাই প্রথম দিকে এদিনের অশান্তিতে বিশেষ একটা আমল দেননি তাঁরা। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ ধরে আর্তনাদ শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা বাড়িতে যান। বাড়িতে তাঁরা যতক্ষণে পৌঁছন, ততক্ষণে মহিলার প্রায় বেশিরভাগ শরীরটাই পুড়ে গিয়েছে। ঘর থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ।
ঘটনায় ওই মহিলার ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায়। ছেলের বিরুদ্ধেই পুড়িয়ে মারার অভিযোগ তুলছেন প্রতিবেশীরা। মৃতের নাম সাবিত্রী বিশ্বাস (৩৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরাজ নগর কলোনি পাড়ার বাসিন্দা সাবিত্রী বিশ্বাসের স্বামী সুকুমার অন্যত্র থাকেন। পারিবারিক অশান্তির জন্যই তাঁরা আলাদা রয়েছেন। বছর উনিশের ছেলে মায়ের জন্য থাকত। তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, প্রায়শই মায়ের কাছে টাকা চাইতেন ছেলে। আর তা না দিতে পারলেই হত অশান্তি।
শনিবার সেই অত্যাচার চরমে ওঠে। বাজড়ি থেকে মারাত্মক চিৎকার চেঁচামেচির শব্দও প্রতিবেশীরা শুনতে পেয়েছিলেন। তারপরই আর্তনাদ শুনতে পান তাঁরা। গ্রাম থেকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গোসাবা থানার পুলিশ।পুলিশ দেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পাঠিয়েছে। কী কারণে এই মৃত্যু, তা জানতে ছেলে ভোলা বিশ্বাসকে গোসাবা থানায় নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।