100 ton Ilish: জালে উঠেছিল ১০০ টন ইলিশ! তাও হতাশ মুখে ফিরতে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের
100 ton Ilish: চিন্তিত সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র। উদ্বেগের সুরে তিনি বলছেন, “২ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে হাজারের বেশি ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল। কিছু ইলিশও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পেয়ে সব ট্রলার আবার ঘাটে ফিরে আসছে।”

কাকদ্বীপ: আকশের মুখ ভার। বঙ্গে পা রেখে মৌসুমী বায়ু, দোসর নিম্নচাপ। অন্যান্য জেলার সঙ্গে দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনাজুড়েই। দিনভর আকাশ মেঘে ছেয়ে রয়েছে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে দমকা বাতাস বইছে। উত্তাল থাকবে সমুদ্র। আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় মাথায় হাত মৎস্যজীবীদের। সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এদিকে ১৪ জুন পর্যন্ত গভীর সমুদ্র মাছ ধরায় ছিল নিষেধাজ্ঞা। টানা দু’মাসের নিষেধাজ্ঞা উঠতেই মুখে কিছুটা হাসি ফুটেছিল মৎস্যজীবীদের। কিন্তু, নিম্নচাপ সেই হাসি কেড়ে নিল।
কয়েকদিন আগেই যে সমস্ত ট্রলার সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিল তাঁরা সব মিলিয়ে ১০০ টনের মতো ইলিশ পেয়েছিল। জালে উঠত আরও ইলিশ। কিন্তু হাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা পেয়ে ট্রলারগুলি আবার সুন্দরবনের নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, সাগরের ঘাটে ফিরে আসছে। ফলে মরসুমের শুরুতেই লোকসানের আশঙ্কা!
চিন্তিত সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র। উদ্বেগের সুরে তিনি বলছেন, “২ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে হাজারের বেশি ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল। কিছু ইলিশও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পেয়ে সব ট্রলার আবার ঘাটে ফিরে আসছে। আমাদের কিছুটা লোকসানের মুখে পড়তে হল।” তবে বর্ষা আসতে কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে তাঁদের মুখে। কারণ বৃষ্টি বাড়লেই মিলবে ইলিশ।
