৬ মাস ধরে লাগাতার ‘ধর্ষণ’ গৃহকর্তার, গর্ভবতী হয়ে পড়লেন অন্ধ পরিচারিকা!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চোখে দেখতে পান না মহিলা। লোকের বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেই দিন গুজরান। তাঁর সেই দুর্বলতার সুযোগ যে এভাবে নেবেন এক গৃহকর্তা তা স্বপ্নেও ভাবেননি বছর ত্রিশের অন্ধ তরুণীটি। চোখে না দেখতে পাওয়ায় এলাকারই এক গৃহকর্তার ‘ধর্ষণের’ (Rape) শিকার হলেন তরুণী। অভিযোগ, সনাতন সরকার নামে এক ব্যক্তি লাগাতার ছয় মাস ধরে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তেই ঘটনাটি জানাজানি হয়। জয়নগরের বহড়ু গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত সনাতন সরকার যদিও পলাতক।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকায় বরাবর ‘ভাল মেয়ে’ বলে পরিচিত নির্যাতিতা অনেকগুলি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। চোখে দেখতে পান না তিনি। পরিবারে রয়েছেন ভাই ও মা। ভাইও চোখে দেখেন না। অভিযুক্ত সনাতন সরকারের বাড়িতেও কাজ করতেন ওই তরুণী। অভিযোগ, বাড়িতে যখন কেউ থাকত না সেই সুযোগে দিনের পর দিন ওই তরুণীকে ধর্ষণ (Rape) করেন সনাতন। এরপরেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই তরুণী। খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার ভাই।

নির্যাতিতা বলেছেন, “আমি চোখে দেখি না, লোকের বাড়ি খেটে খাই। ওই বাড়িতে গেলেই লোকটা জোর করত। ভয় দেখাত। কাউকে জানালে আমায় প্রাণে মেরে দেবে বলে হুমকি দিত। ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। কিছুদিন আগে খুব শরীর খারাপ হয়। তখন ডাক্তারের কাছে গিয়ে জানতে পারি আমার পেটে বাচ্চা এসেছে। ওই লোকটা আমায় আর আমার মাকে টাকা দিয়ে বাচ্চা মেরে ফেলার কথা বলে। আমি বারণ করেছি। কিন্তু, আমি খেটে খাই। এই অবস্থায় কী করে সংসার চলবে! আমি ওর শাস্তি চাই।” নির্যাতিতার ভাইয়ের কথায়, “আমার বোনের সঙ্গে ওই সনাতন সরকার অন্যায় করেছে। ওর শাস্তি চাই। পুলিশে অভিযোগ করেছি।”

জয়নগর পুলিশ সূত্রে খবর, থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে। নির্যাতিতার বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পলাতক অভিযুক্তেরও খোঁজ করছে পুলিশ। আরও পড়ুন: দাঁতে ব্যথার ওষুধ খেতেই পেট ‘ফুলতে’ শুরু করল রোগিণীর! গ্রেফতার ‘হাতুড়ে’ চিকিৎসক