Abhishek Banerjee Update: ২০১৯ সালে এই ভাঙড় থেকে আপনারা প্রার্থীকে ১ লক্ষ ১১ হাজারের ব্যবধানে জিতিয়েছিলেন। ২০২১ সালে কিছু অপপ্রচারের জন্য অনেকে ধর্মের উস্কানিতে পা বাড়িয়েছেন। যাঁকে নির্বাচিত করেছিলেন, তিনি বিজেপি বি টিম হয়ে কাজ করছেন। বিধায়কের নাম মুখে আনব না।
ভাঙ়ড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us
ভাঙড়: ভাঙড়ের মাটিতে প্রথম সভা করলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙড় যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তগর্ত। যাদবপুরের প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে ভাঙড়ে সভা করলেন অভিষেক। কী কী বললেন, দেখুন এক নজরে…
KEY HIGHLIGHTS
আপনারা তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর আপনাদের সমর্থন রেখেছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা আমাদের সকলের কর্মভূমি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন এই যাদবপুরের মাটি থেকে। খাতায় কলমে ১৯৯৮ সালের পয়লা জানুয়ারি আমাদের দল প্রতিষ্ঠীত হয়। ১৩-১৪ বছর আগে এই যাদবপুর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রাজনৈতিক পথচলা শুরু করেন।
এই ভূমি এই মাটি প্রাণের চেয়েও প্রিয়। ভাঙড় এখন কলকাতা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে। যে কলকাতা পুলিশকে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে তুলনা করা হয়। ভাঙড়ের সার্বিক পরিস্থিতি আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে এই ভাঙড় থেকে আপনারা প্রার্থীকে ১ লক্ষ ১১ হাজারের ব্যবধানে জিতিয়েছিলেন। ২০২১ সালে কিছু অপপ্রচারের জন্য অনেকে ধর্মের উস্কানিতে পা বাড়িয়েছেন। যাঁকে নির্বাচিত করেছিলেন, তিনি বিজেপি বি টিম হয়ে কাজ করছেন। বিধায়কের নাম মুখে আনব না. ভাঙড়বাসীকে বলব যাঁকে ২৩-২৪ হাজার ভোটে জিতিয়েছিলেন, বিধানসভায় পাঠিয়েছিলেন, তিনি CAA-NRC বিরুদ্ধে মমতার বিরুদ্ধে গিয়ে শুভেন্দুর প্রশংসা করেছেন।
শুভেন্দু বলেছিলেন, বাংলার সংখ্যালঘুদের বাড়ি বুল ডোজার দিয়ে ভাঙব, তখন তিনি তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। এখানে চারটে লোকসভা আসন। এখানে লড়াইটা সিপিএম-তৃণমূল-কংগ্রেস-বিজেপির নয়। এখানে ডায়মন্ড হারবারের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে যাদবপুরের। মথুরাপুরেরর সঙ্গে লড়াই জয়নগরের। কে কত ব্যবধানে জিতবে।
আগামী সাত দিন এই জেলায় থাকব। বাংলা বিরোধীদের আমরা বাকি বিধানসভা থেকে করে দিয়েছি। গত তিন মাস ধরে রাস্তায় থেকেছি। মানুষের যে উদ্দীপনা দেখেছি. ১ তারিখ যখন ভোট দেবে, মোদী সরকার আর তিন দিনের মেয়াদে থাকবে।
আগামী দিন দিল্লির বুকে যে সরকার গড়বে, তাতে যাতে বাংলার মানুষ নির্ণায়ক হয়, তার চেষ্টা করব। ডায়মন্ড হারবারের মানুষ যখন ভোট দেবেন, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, ডায়মন্ড হারবারের জয়ের ব্যবধান ৪ লক্ষের বেশি আমি নিয়ে যাব। যাদবপুরে-ভাঙড়ে জয়ের ব্যবধান দেড় লক্ষের বেশি হবে তো?
ভাঙড়ের মাটি যে তৃণমূলের দুর্জয়ের ঘাঁটি, তা প্রমাণ করতে হবে। ভাঙড়ে শান্তি বিরাজ করবে।
বাংলায় হেরে গিয়ে দিল্লির সরকার একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। ভাঙড়ের বিধায়ক একদিন দিল্লি গিয়ে একটা বৈঠকও করেনি।
আমরা দিল্লিতে গেছি, ফিরদৌসি বেগম, লাভলি ঘোষ, সায়নী ঘোষরা দিল্লিতে গেছিলাম। তিন দিন ধরে অবস্থানে বসেছিলাম। মোদী সরকার GST বসিয়েছে। হাইকোর্টের অর্ডারে, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে একাধিক তফসিলিদের ওবিসি রিজার্ভেশন হাইকোর্ট কেড়ে নিয়েছে। যে বিচারপতি শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন, তিনিই সংখ্যালঘু ভাইবোনদের রিজার্ভেশন কেড়ে নিয়েছেন। এই ঘটনা কাকতালীয় নয়। দেখুন একটা প্রতিক্রিয়াও বিধায়ক দিয়েছেন? যে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভয় পায়, তার টিকি দিল্লিতে বাঁধা।
১ তারিখ ভোট দেবেন। একাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাবে, ভয় দেখানোর চেষ্টা করবে, মাথা নত করবেন না।
প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়ে বলছি, আপনি তো সপ্তাহ দফার আগে এই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় একাধিকবার আসবেন, পারলে এই ভোজেরহাট ময়দানে আসবেন। এই মাঠে মিটিং করবেন, বিজেপির যে কোনও সর্ব ভারতীয় নেতা বুকের পাটা থাকলে, এখানে মিটিং করে যাবেন। চ্যালেঞ্জ অভিষেকের।
দেশে আমাদের সরকার তৈরি হবে, সেখানে নির্ণায়ক শক্তি হবে তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতের ৫০ কোটি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডার দেব।