বারুইপুর: স্ত্রীকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি স্বামীর। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল বারুইপুরের শিখরবালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রপালা গ্রামের মনসাতলা এলাকায়। এখানেই থাকতেন বছর সাঁইত্রিশের গৃহবধূ অঞ্জলি মণ্ডল। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়িতে ঝামেলার মধ্যেই অঞ্জলি দেবীকে খুন করে বাড়িতেই ছাগল রাখার ঘরে পুঁতে দেন তাঁর স্বামী রবীন মণ্ডল।
ঘটনার খবর চাউর হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে ওই এলাকা ও আশপাশের এলাকাতেও। ঘটনাস্থলে ভিড়ও জমিয়েছেন অনেকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বারুইপুর থানার পুলিশ। এসেছেন এসডিপিও বারুইপুর অতীশ বিশ্বাস, বারুইপুর থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। কতদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা চলছিল, কী নিয়ে ঝামেলা চলছিল সেসব বিষয়েই করা হচ্ছে প্রশ্ন।
ঘটনায় মৃতার বাবা বলছেন, “আমার মেয়েকে আমরা তিনদিন ধরে খুঁজছি। কিন্তু, খুঁজে পাচ্ছি না। বাড়িতে, বাড়ির পাশে, মাঠেঘাটে সব জায়গায় খোঁজা হয়েছে। কোথাও পাওয়া যায়নি। জামাইকে জিজ্ঞেস করলেও ও কিছু বলতে চায়নি। শেষে ছাগল ঘরে দেখা যায় মাটির নীচে আমার মেয়েকে মেরে পুঁতে দিয়েছে আমার জামাই রবীন মণ্ডল। তারপর থেকে আমার জামাইয়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওদের দুটো ছেলেও রয়েছে। এদিকে বিয়ের পর থেকে প্রায়ই আমার মেয়েকে মারত জামাই। কোনওভাবেই ওকে থামানো যায়নি।”