ক্যানিং: ভোটের খবর করতে গিয়ে ফের আক্রান্ত TV9 বাংলা। বরাহগরের পর এবার ক্যানিং। ফের আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম। এবার ক্যানিংয়ের গোলাবাড়িতে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন চিত্র সাংবাদিক বান্টি মুখোপাধ্যায়ের। ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হয় বান্টি, মাথা ফেটে যায় তাঁর। সংবাদমাধ্যমের উপরে একের পর এক হামলায় নিন্দায় সরব রাজনৈতিক নেতারা।
জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সপ্তম দফার ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকেই ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলাবাড়িতে অশান্তির খবর আসতে শুরু করে। ভোট চলাকালীন তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে ব্য়াপক সংঘর্ষ-অশান্তি বাধে। দুই পক্ষের মধ্যে ইট ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। সেই খবর করতে গিয়েই আক্রান্ত হন চিত্র সাংবাদিক বান্টি মুখোপাধ্যায়।
ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় চিত্র সাংবাদিকের। মাথায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে আনা হয় স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও দেখা নেই বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভোটারদের রাস্তায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। বুথে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীতে দেখা যাচ্ছে না।
আজ সকালেই বরাহনগরেও হামলার মুখে পড়েন TV9 বাংলার সাংবাদিক সুশোভন ভট্টাচার্য। খবর করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হন সুশোভন। আচমকাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মারমুখী হয়ে ওঠে। লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে আসে এক জওয়ান। TV9 বাংলার বুম কেড়ে নেওয়া হয়। সুশোভনকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। এমনকী, হেলমেট দিয়েও আঘাত করাহয় নির্মমভাবে।
TV9 বাংলার উপরে এভাবে হামলার নিন্দায় সরব হয়েছে শাসক-বিরোধী দলের নেতারা। সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “সাংবাদিকের উপর হামলা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক”। বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় বলেন, “সাংবাদিকের উপরে হামলা হওয়া উচিত নয়”। সজল ঘোষও বলেন, “এটা গণতন্ত্রের উপরে হামলা, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক”। বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সাংবাদিক খবর করলে বাধা দেওয়া পুলিশের কাজ নয়।”