বাসন্তী: উত্তপ্ত বাসন্তী বিধানসভা। রাতভর তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে। এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী,গৃহবধূ,বাড়ির বয়স্ক গৃহকর্তা সহ পাঁচজনকে মারধর ও তাঁদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। গুরুতর আহত অবস্থায় ঘরবন্দী তাঁরা। অভিযোগ, বাড়ির চারিদিকে ঘিরে রয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
সপ্তম এবং শেষ দফায় নির্বাচন হচ্ছে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে। আর সেই লোকসভা কেন্দ্রর অন্তর্গত একেবারে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের অন্তর্গত ঝড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চার নম্বর নেহেরু পল্লী গ্রামে বসবাস করেন প্রৌঢ় সীতারাম মণ্ডল ও তাঁর পরিবার। সীতানাথবাবু বর্তমানে বিজেপির সমর্থক। অভিযোগ, সেই কারণে বিগত ক’দিন ধরেই লাগাতার তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তিনি যাতে ভোট দিতে না যান। তারপরেও হুমকিতে ক্ষান্ত হয়নি অভিযুক্তরা।
অভিযোগ, শুক্রবার গভীর রাতে ২০-২২ জনের দল এসে বাড়িতে চড়াও হয়। বৃদ্ধ গৃহকর্তা সীতানাথ মণ্ডলকে ঘুমন্ত অবস্থায় তুলে বাড়ির বাইরে বের করে। এরপর বেধড়ক মারধর করা হয় লাঠি, ধারাল অস্ত্র নিয়ে। বাড়ির গৃহকর্তাকে মারধর করতে দেখেন ছেলে, বৌমা,স্কুল পড়ুয়া নাতনি। এরপর তাঁরা বাঁচাতে এলে অভিযোগ তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।
মারধরের ফলে বৌমা, দুই ছেলে এমনকী নাবালিকাকেও আহত হন। শনিবার ভোটের দিন। তাই আহতদের বাসন্তী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। পরিবারের দাবি, বাড়ির চারিদিকে ঘিরে রয়েছে হামলাকারীরা। আতঙ্কিত পরিবার চাইছে, প্রশাসন তাঁদের চিকিৎসার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করুক।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ প্রসঙ্গে ঝড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান বলেন, “এর কোনও ভিত্তি নেই। ঝড় খালিতে এমন কোনও পরিবেশ নেই যে বিরোধীদের ভোট দিতে দেওয়া হয় না।” এ প্রসঙ্গে সীতানাথ মণ্ডল বলেন, “আমি শুয়ে ছিলাম। সেই সময় জোর করে বের করে এনে ওরা আমায় মারে। পরিবারের সকলকে মেরেছে। লাঠির বাড়ি দিয়েছে। মাথা ফেটে গিয়েছে। এরা সকলে তৃণমূল করে।”