দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ, রবিবারের এই ঘটনার পর চিকিৎসক ও নার্সদের মারধর করেন নিহতের পরিবারের লোকজন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যে মারা গিয়েছে তার বয়স আট বছর। ছোট্ট এই প্রাণ চলে যাওয়ায় হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে তার আত্মীয়রা। এরপরই তুমুল ঝামেলা শুরু হয় বলে অভিযোগ। খবর দেওয়া হয় ডায়মন্ড হারবার থানায়। সেখান থেকে বিশাল পুলিশের দল এসে হাজির হয়। তারাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় নিহতের আত্মীয়স্বজন মিলিয়ে মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয় রামনগর থানার নুরপুর এলাকার বাসিন্দা নেহা পারভিন। রবিবার বিকালে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ, এরপরই নেহার পরিবারের লোকজন চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের উপর চড়াও হন। এমনকী তাঁদের গায়ে হাত পর্যন্ত তোলেন।
এমন হইচইয়ে ভয়ে কুঁকড়ে যেতে থাকেন হাসপাতালের রোগীর আত্মীয়রা। অনেক রোগীও ঘাবড়ে যান এমন চিৎকার চেঁচামেচি শুনে। ভয় পেয়ে যান ডাক্তার, নার্সরাও। নেহার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকরা নেহার ঠিকমতো চিকিৎসা করেননি। সে কারণেই এভাবে তাঁরা তাঁদের মেয়েকে অকালে হারালেন। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মারধরের ঘটনায় মৃত শিশুর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপরই সাতজন গ্রেফতার হন।
ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি সুপার সুপ্রিম সাহা বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ পেডিয়াট্রিক ডিপার্টমেন্টে কর্তব্যরত ডাক্তার পিজিটি পেশেন্ট পার্টির দ্বারা নিগৃহীত হয়েছেন। যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু তা বলে ডাক্তারদের উপর এভাবে হাত তোলা? তাঁরা তো ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। মানুষকে পরিষেবা দেবেন কীভাবে?”