দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একবার নয়, বিরোধীরা বরংবার সরব হয়েছিলেন আমফানের ত্রাণের টাকায় দুর্নীতি হয়েছে। লাগাতার কাঠগড়ায় তুলেছিল শাসকদল তৃণমূলকে।দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল তারা। কিন্তু এবার উলটপুরান। আমফানের (Amphan) তালিকায় পঞ্চায়েত প্রধান ও দলের স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ায় গত আড়াই বছর ধরে পঞ্চায়েতে ঢুকতে পারছেন না তৃণমূলের উপপ্রধান সোনা দলুই।
ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের। উপপ্রধানের অভিযোগ, আমফানের তালিকায় অনেক পাকাবাড়ির বাসিন্দা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত গরীবরা বঞ্চিত হয়েছেন। পঞ্চায়েত দলীয় অফিস না, পঞ্চায়েত সকলের। আমি একথা বলায় দল থেকে আমাকে একঘরে করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার কোনও কাজেও আমাকে ডাকা হয় না। আমাকে বাদ দিয়ে তৃণমূলের বুথের নেতারা কাজ করছেন। এমনকি আমার সইও করে দিচ্ছেন প্রধান। সেজন্য আড়াই বছর ধরে আমি আর পঞ্চায়েতে যাই না।”
প্রধান বানেশ্বর দাস উপপ্রধান না আসার কথা মেনে নিয়েছেন। তবে পাল্টা উপপ্রধানের বিরুদ্ধে আমফানে ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। উপপ্রধানের হয়ে তিনি সই করছেন বলে মেনেও নিয়েছেন। এ বিষয়ে তৃণমূলের বুধাখালির অঞ্চল সভাপতি বাবলু প্রধান জানিয়েছেন, “আমার কাছে কোনও অভিযোগ করেননি কোনওদিন। খোঁজ নিয়ে দেখব।” স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন, “বিধায়ক নিজেই বললেন যে তৃণমূল প্রধান চোর। আমরা এই প্রতিবাদ দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছিলাম। এখন ওদের দলের লোকও বলছেন। ”
উল্লেখ্য, ১৯ আসনের বুধাখালি পঞ্চায়েত। এরমধ্যে ১৬ আসন শাসক তৃণমূলের দখলে। সোনা দলুই ২২২ নম্বর বুথ থেকে তৃণমূলের নির্বাচিত হয়ে উপপ্রধান হন। এই ঘটনায় বিরোধী সিপিএম ও বিজেপির পক্ষ থেকে পুনরায় দুর্নীতি নিয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করা হয়েছে।