দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবারও জেল হেফাজতে নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স (KLC) থানার একটি মামলায় সোমবার ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ককে আদালতে তোলা হয়। বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা নওশাদকে। শুনানির পর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় নওশাদকে। এদিন সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে নওশাদ সাগরদিঘির ভোট নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। নওশাদ বলেন, “ঠিকঠাক ভোট হলে আমার সঙ্গে আরেকজন যুক্ত হবেন বিধানসভাতে। তবে অবশ্যই ঠিকঠাক যদি ভোট হয়। মানুষকে যদি ভোট দিতে দেওয়া হয়।” মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয় সোমবার। তৃণমূলের সুব্রত সাহার মৃত্যুতে এই কেন্দ্রে বিধায়ক আসন ফাঁকা। উপনির্বাচনে লড়ছেন তৃণমূলের প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির দিলীপ সাহা এবং কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ একসঙ্গে লড়াই করেছিল। এই ‘জোটে’র একজন প্রার্থীই জিতেছিলেন, নওশাদ সিদ্দিকি। এবারও কি কংগ্রেসের প্রতিই সমর্থন রাখছেন নওশাদ ও তাঁর দল। এদিন নওশাদের মন্তব্য নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের অনুষ্ঠান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকিকে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার হন আরও ১৮ জন আইএসএফ কর্মী-সমর্থককে। ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় তাদের। ১০ দিনের জেল হেফাজত হয়েছিল। এরপর এই মামলার সঙ্গে যুক্ত হয় কেএলসি থানার মামলাও।
২১ জানুয়ারিই ভাঙড়েও তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে সংঘাতের অভিযোগ ওঠে। যা ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় স্থানীয় হাতিশালা এলাকা। সেই মামলাতেও নওশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। বারুইপুর মহকুমা আদালতে সেই মামলার শুনানি ছিল এদিন। নওশাদকে ফের জেল হেফাজতেরই নির্দেশ দেওয়া হল।