দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার জেরে আবারও মৃত্যু। এবার মৃত্যু হল বিষ্ণুপুরের বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীর। বিষ্ণুপুরের দড়ি কেওড়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথে বিজেপির গ্রামসভার প্রার্থী হয়েছিলেন ভোলানাথ মণ্ডল। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ভোটের তিন দিন আগে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর ওপর হামলা চালায়। কেন তিনি বিজেপির হয়ে লড়ছেন, তা নিয়ে তাঁর ওপর চাপ তৈরি করা হয়। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সেদিন স্থানীয় বাসিন্দারা যতক্ষণে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন, তাঁর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরিবারের দাবি, ভোলানাথ মণ্ডলের তলপেটে, বুকে বারংবার লাথি মারা হয়। এবং বন্দুকের বাঁট দিয়ে চোখে আঘাত করা হয়। পরিবারের দাবি, ভোলানাথের ইউএসজি রিপোর্ট খুব খারাপ আসে। এরপরই ভোট কেটে যাওয়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার সকালে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকের অভিযোগ সেই মারধরের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, প্রাক্তন পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী দিলীপ নস্কর এবং তাঁর অনুগামীরা মারধর করেছেন ভোলানাথ মণ্ডলকে। যদিও তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পলাশ কর্মকার বলেন, “মৃত্যুটা দুঃখের। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা দায়ী, সেটা সত্য নয়। একটা মৃত্যু হলেই রাজনৈতিক ইস্যু করবে, সেটা কখনই কাম্য নয়। রাজনৈতিকভাবে লড়াই চলতেই পারে। কিন্তু তা বলে খুন, এটা কখনই তৃণমূল করতে পারে না।”