Attacked by Tiger: আচমকা নৌকাতে লাফ, মৎস্যজীবীর পিঠেই থাবা ডোরাকাটার! তারপর…

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Feb 01, 2022 | 8:29 AM

Sundarban: আচমকা বাঘের আক্রমণে হতভম্ব বাকি মৎস্যজীবীরা চিৎকার করতে শুরু করেন এমনকী, লাঠি ও বৈঠা নিয়ে বাঘটিকে আঘাত করার চেষ্টাও করেন।

Attacked by Tiger: আচমকা নৌকাতে লাফ, মৎস্যজীবীর পিঠেই থাবা ডোরাকাটার! তারপর...
আক্রান্ত মৎস্যজীবী, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবারও গভীর জঙ্গলে মাছ এবং কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের (Royal Bengal Tiger) হানায়  আক্রান্ত মৎস্যজীবী। সঙ্গীরাই বাঘের মুখ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে ফিরলেন গ্রামে। চাঞল্যকর ঘটনাটি কুলতুলির বেনিফেলি জঙ্গলের। শুক্রবার কুলতুলির দেউলবাড়ির বাসিন্দা শঙ্কর সর্দার তাঁর তিন সঙ্গীকে নিয়ে কাঁকড়া ধরতে যান বেনিফলির জঙ্গলে। সেখানে গিয়েই সোমবার আচমকা বাঘের হানায় জখম হন তিনি।

শঙ্করের সঙ্গীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য সময়ের মতোই কাঁকড়া ধরতে জঙ্গলে গিয়েছিলেন তাঁরা। দলবেঁধে শুক্রবার থেকেই চলছিল কাঁকড়া ধরার কাজ। সোমবার নৌকায় শঙ্কর ও  বাকিরা ছিলেন। আচমকাই চোখের পলকে একটি বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে নৌকাতে। হাতের কাছে শিকার পেয়েই শঙ্করের মাথার পিছনে ও পিঠে থাবা বসায় বাঘটি। সেখানেই শেষ নয়, কার্যত, শঙ্করকে জঙ্গলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এদিকে, আচমকা বাঘের আক্রমণে হতভম্ব বাকি মৎস্যজীবীরা চিৎকার করতে শুরু করেন এমনকী, লাঠি ও বৈঠা নিয়ে বাঘটিকে আঘাত করার চেষ্টাও করেন। অত মানুষের চিৎকারে, ওই ডোরাকাটা তার শিকার ফেলে রেখেই পালায়। গুরুতর জখম অবস্থায় শঙ্কর নামের ওই ধীবরকে দ্রুত নিকটবর্তী গ্রামে আনা হয়। সেখান থেকে সোমবার রাতেই চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় জয়নগর-কুলতুলির গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু, শঙ্করের শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হওয়ায় রাতেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকেরা।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, শঙ্করবাবুর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁর মাথায় ও পিঠে গুরুতর আঘাত লেগেছে। পুরো সুস্থ হয়ে উঠতে সময় লাগবে ওই মৎস্যজীবীর। শঙ্করের সঙ্গী সত্য় বৈদ্যর কথায়, “বাঘটা আচমকা বেরিয়ে এসেছিল। আমরা কেউ সেভাবে বুঝতেও পারিনি। শঙ্কর ছিল বাঘটার সামনে, পেছন দিক করে। সামনে ওকে পেতে ওকে নিয়েই জঙ্গলে ঢুকতে যাচ্ছিল বাঘটা। একটা থাবা মেরেছে। আমরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করায় পালিয়ে যায়।”

বনদফতর সূত্রে খবর, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শঙ্করদের কাছে বৈধ কাগজপত্র ছিল  কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও তাঁরা কেন গভীর জঙ্গলে গিয়েছিলেন কাঁকড়া ধরতে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

রবিবারই,  বসিরহাট রেঞ্জের বাগনা বিটের অন্তর্গত ঝিলা এক নম্বর জঙ্গলে বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছে এক মৎস্যজীবীর। স্থানীয়রা জানান, অরবিন্দ বিশ্বাস নামের ওই মৎস্যজীবী-সহ আরও তিন মৎস্যজীবী রবিবার সকালে কাঁকড়া ধরার জন্য গভীর জঙ্গলে যান। অরবিন্দের প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, নদীতে কাঁকড়া ধরার সময় হঠাৎ জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে অরবিন্দের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঘ তাঁকে ধরে জঙ্গলে নিয়ে চলে যায়। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফে জানানো হয়েছে, অবৈধ ভাবে কাঁকড়া ধরার সময় বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন অরবিন্দ। মৎস্যজীবীদের কাছে কোনও বৈধ অনুমতিপত্র ছিল না বলেও জানানো হয়।

বস্তুত, বারবার বাঘের হানায় ত্রাসে সুন্দরবন। কিছুদিন আগেই কুলতলির গ্রামে টহল দিচ্ছিল রয়েল বেঙ্গল। সেই ডোরাকাটাকে ধরতে কার্যত ৬দিন ৬ রাত চোখের পাতা এক করতে পারেননি গ্রামবাসী। ফের বাঘের হানা। একের পর এক এভাবে বাঘের আনাগোনা কেন লোকালয়ে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: WBBSE: খুলছে স্কুল, একাদশ-দ্বাদশের জন্য প্র্যাকটিকাল ক্লাসে জোর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

 

Next Article