দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মোবাইল চার্জে বসিয়েই দুপুরে ঘুমোতে গিয়েছিলেন গৃহবধূ। এরপর হঠাৎ বিকট শব্দ। চোখ খুলেই চমকে যান। মোবাইল ফেটে গিয়েছে। আর তার জেরে গোটা ঘরে আগুন ধরে গিয়েছে। পুড়ে যান নিজেও। এরপরই হতভম্ব হয়ে চিকিৎকার করতে থাকেন তিনি। ছুটে আসেন এলাকাবাসী। জানালা ভেঙে উদ্ধার করেন জলন্ত মহিলাকে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আর বাঁচানো যায়নি।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থানার গরানকাঠি এলাকায়। মঙ্গলবার ভোররাতে কলকাতার এক হাসপাতাল থেকে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর খবর আসে। মৃতের নাম শম্পা বৈরাগী (২৫)। কাজের সূত্রে শম্পাদেবীর স্বামী বাইরে থাকেন। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন তিনি। গতকাল দুপুরে ঘুমানোর সময় ফোনে চার্জ না থাকায় সেটি চার্জে বসান ওই গৃহবধূ। এরপর হঠাৎ ফেটে যায় সেটি। আগুন ধরে যায় গোটা ঘরময়। এরপরই চিৎকার করতে থাকেন মহিলা। তাঁর আর্ত চিকিৎকারে প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে দেখেন আগুনে জ্বলছেন শম্পা। রীতিমত ছটফট করছেন তিনি। তড়িঘড়ি ঘরের জ্বানালা ভেঙে ঝলসানো অবস্থায় শম্পাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলপি ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার হাসপাতালে। এরপর আজ আসে মর্মান্তিক খবর।
মৃত মহিলার শ্বশুর জানিয়েছেন, “প্রতিদিনের মতোই ঘরে ছিটকিনি লাগিয়ে শুয়েছিল। বাচ্চাটা আমার কাছে পাশের ঘরে ছিল। এবার হঠাৎ দেখি তিনবার বোমের মতো কেমন আওয়াজ হয়। বাইরে এসে দেখি বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। আরও লোকজনও ছুটে আসে। তাঁরা এসে জানালার শিক ভেঙে উদ্ধার করে বৌমাকে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কলকাতায় স্থানান্তরিত করতে বলে। আর আজকে এই খবর এল।”
মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: Budget 2022 : “জনদরদী বাজেট,” বিরোধীদের কটাক্ষ উড়িয়ে বাজেট নিয়ে নির্মলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদী