দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। সুন্দরবনের জল সীমানায় কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে বিএসএফ এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলায় নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর এবারের মেলায় সবমিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুন্দরবন জেলা পুলিশ।
বিশেষ করে মেলায় আগত মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ‘উইনার্স টিম’কে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হবে। থাকছে ক্যুইক রেসপন্স টিম। ট্রাফিক ম্যনেজমেন্টের জন্য আলাদা দল থাকবে। থাকবে বম্ব স্কোয়্যাড। নদীপথেও স্পিডবোট এবং লঞ্চ দিয়ে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে। থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোন। সাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন থাকবে।
এছাড়াও উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মেলা চলাকালীন উপকূল রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে জলপথে ছোট জাহাজ, হোভারক্রাফ্টে করে নজরদারি চালানো হবে। এছাড়াও মেলা চলাকালীন গঙ্গাসাগরের উপর হেলিকপ্টার, এয়ারক্রাফ্ট এবং ড্রোনিয়ারের মাধ্যমে উপকূল রক্ষী বাহিনী নজরদারি চালানোর কথা রয়েছে। এবারের সাগর মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মেলায় আসা ভিন রাজ্যের তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলাকালীন সমুদ্র এবং নদীতে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরা এবং যাত্রী পরিবহন করা উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে জেলা প্রশাসন।