দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্ত্রীকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। তিন বছর পর সিআইডির জেরায় খুনের কথা কবুল স্বামীর। তিন বছর পর সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় মহিলার কঙ্কাল। ২০২০ সালে থেকে হঠাৎ নিঁখোজ হয়ে গিয়েছিলেন সোনারপুরের মিলনপল্লির টুম্পা মন্ডল। স্বামীর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ হয়েছিল টুম্পার পরিবারের সদস্যদের। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ভোম্বলকে গ্রেফতার করে সোনারপুর থানার পুলিশ। কিন্তু সে সময় টুম্পার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি । পরে আদালতে জামিন পেয়ে যায় অভিযুক্ত।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মামলার তদন্তহার হাতে নেয় সিআইডি। দীর্ঘ জেরার পর ভেঙে পড়েন অভিযুক্ত। সোনারপুরের মিলনপল্লিতে ভাড়ার বাড়িতে থাকার সময় ২০২০ সালে স্ত্রীকে খুন করেন তিনি। দাম্পত্য কলহের জেরেই তিনি খুন করেন। পরে প্রমাণ লোপাট করতে দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেন।
বাড়িওয়ালা তাপস মণ্ডল জানান, লকডাউনের সময় স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নেন দু’জনে। কিছুদিন থাকার পর চলেও যান। তার কয়েকদিন পর ভোম্বলের এক আত্মীয় এসে বকেয়া বাড়ি ভাড়া মিটিয়ে সব জিনিসপত্র নিয়ে চলে যান। এখন এই ঘটনা জানতে পেরে চমকে উঠছেন তিনি।