Behala Suicide: জমির ভাগ কে পাবেন, সুইসাইড নোট ছেড়ে গঙ্গায় ঝাঁপ বেহালার প্রৌঢ়ের
Behala Suicide: ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার চৌরাস্তার কালীপদ মুখোপাধ্যায় রোডে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম গৌতম ঘোষ (৬২)। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁর একটি জমি ছিল।
বেহালা: জমির ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ। পরে ভাই ও প্রোমোটারদের সঙ্গে বচসা। তারপর থেকেই খোঁজ মিলছিল না ব্যক্তির। শেষে পুলিশ যখন খুঁজে পেল তখন ধড়ে ছিল না প্রাণ। অভিযোগ, আবাসনের ভাগ না পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই প্রৌঢ়। শুধু তাই নয়, সুইসাইড নোটে লিখে রেখে যান নিজের ভাই ও কয়েকজনের নাম। সেই নোট থেকেই মৃতের ভাই ও কয়েকজন প্রোমোটারকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার চৌরাস্তার কালীপদ মুখোপাধ্যায় রোডে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম গৌতম ঘোষ (৬২)। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁর একটি জমি ছিল। সেই জমিতে প্রোমোটিং করার জন্য বেশ কয়েকজন প্রোমোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন গৌতমবাবু। সেই মতোই প্রোমোটাররা ওই জমিটি নিয়ে আবাসন বানানোর কাজ শুরু করে। পরে কাজটি শেষও হয়।
এরপরই থেকেই শুরু হয় গন্ডগোল। আবাসনটির ভাগ নিয়ে গৌতমবাবু ও তাঁর ভাই তপনবাবুর সঙ্গে বাধে বিবাদ। তবে এই ঝামেলা আজকের নয়। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে আবাসনের ভাগাভাগি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা চলছিল।
মৃতের পরিবারের দাবি, গত ১১ জুন সেই গন্ডগোল মেটানোর জন্য গৌতম ঘোষ তাঁর ভাই ও প্রোমোটারদের ডেকেছিলেন। পরিবারের বক্তব্য, মিটিংয়ের পর থেকেই আর প্রৌঢ়কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর থানা পুলিশ করে পরিবার। শুরু হয়ে নিখোঁজের খোঁজে তল্লাশি। লালবাজার হোমিসাইড শাখা ও হরিদেবপুর থানার পুলিশ একাধিকবার তল্লাশি চালায়। আবাসনের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। পরে শুক্রবার (১৬ ই জুন) হাওড়া গোয়ালিওয়র ঘাট থেকে গৌতমবাবুর দেহ উদ্ধার হয়।
খবর দেহ হয় পরিবারে। তাঁর এসে দেহ সনাক্ত করে। মৃতের পরিবার ওই প্রোমোটার ও তপন ঘোষের বিরুদ্ধে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ জানায়। সুইসাইড নোটটিতে প্রোমোটাদের ও তাপন ঘোষের নাম উল্লেখ থাকে। সেই নোটের ভিত্তিতে তিন থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মৃতের এক আত্মীয় বলেন যে, প্রোমাটার ও নিজের ভাইয়ের জন্য আত্মহত্যার পথে বেছে নিতে হয়েছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে।