মাছ ভরা ভেড়ি ভরেছে কচুরিপানায়, না খেতে পেয়ে দিন কাটছে মত্‍স্যজীবীদের

tista roychowdhury | Edited By: arunava roy

Feb 19, 2021 | 8:09 PM

ভোট এলেই নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। মেলে না কিছুই...

মাছ ভরা ভেড়ি ভরেছে কচুরিপানায়, না খেতে পেয়ে দিন কাটছে মত্‍স্যজীবীদের

Follow Us

ভাঙড়: এক সময় ভাতের সংস্থান করত মাছই। মাছ চাষ করে চলত সুখের সংসার। দু’বেলা দু’মুঠো অন্নসংস্থানের সমস্যা ছিল না তেমন। কিন্তু গত একদশকে ছন্দপতন। লকডাউনে কার্যত না খেতে পেয়েই দিন কেটেছে বলে দাবি ভাঙড়ের মত্স্যজীবী (Fisherman) ও ভেড়ি শ্রমিকদের। তাই আজ ছবিটা বদলে গিয়েছে। আর্থিক অনটন আর কর্মহীনতা গ্রাস করেছে। ভোট এলেই শুধু প্রতিশ্রুতিই সার।

একসময় জল ভরা ভেড়ি পূর্ণ থাকত মাছে। আজ সেই ভেড়ি ভরে গিয়েছে কচুরিপানায়। সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ মত্‍স্যজীবীদের। ২০১১ থেকে প্রায় কর্মহীন শতাধিক মত্‍স্যজীবী।

পরিচর্যার অভাবে ধুঁকছে ভাঙড়ের বেওতা ও বামনঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪০৬ বিঘা মাছের ভেড়ি। প্রায় একদশক আগে এলাকার ১০৪টি পরিবার সমবায় সমিতির মাধ্যমে মাছ চাষ করে সংসার চালাতেন। আর ২০০ পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এই মাছের ভেড়ির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ, ২০১১ তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর কাজ কমতে শুরু করেছে। বিগত তিন বছর সম্পূর্ণ কর্মহীন মত্‍স্যজীবীরা। সমবায় সমিতির মধ্যে থেকেও কাজ পাচ্ছেন না তাঁরা। বিভিন্ন জায়গায় অভাব-অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি বলে দাবি মত্‍স্যজীবীদের।

প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন ১০৪ জন শ্রমিক। জানা গিয়েছে, বামফ্রন্ট সরকারের শেষের দিকে বেওতা দু’নম্বর পঞ্চায়েতের বড় আবাদ এলাকায় হাজার একরের উপরে মাছের ভেড়ি মৎস্যজীবীদের দেখভালের জন্য দেওয়া হয়েছিল। শর্ত অনুযায়ী ভেড়ির মালিকরা এই ১০৪ জন মৎস্যজীবীকে ২০০ টাকা করে রোজ দিতেন।

আরও পড়ুন: বকেয়া বেতন পরিশোধ-সহ একাধিক দাবিতে সরব সাফাইকর্মীরা, হাসপাতালে বন্ধ সাফাইয়ের কাজ

আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যেj শাসকদলকে একহাত নিয়েছে বাম, বিজেপি। তৃণমূল নেতা প্রদীপ মণ্ডল জানিয়েছেন, এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা চলছে। সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

Next Article