দক্ষিণ ২৪ পরগনা: “কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে ক্যাম্পে আর বুথে, মাঠে থাকব আমরা। খেলা হবে!” জনসভায় দাঁড়িয়েই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা ভাঙড়ের (Bhangore) তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা মোদাসসের হোসেনের।
বাংলায় এবার ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের বাদ্যি বাজার অপেক্ষা।যুযুধান প্রতিপক্ষ এখন ব্যস্ত সংগঠনকে ঝালিয়ে নিতে আর দলীয় কর্মীদের আরও বেশি করে উজ্জীবিত করতে। কিন্তু তা করতে গিয়েই বিতর্কে জড়ালেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা মোদাসসের হোসেন।
ভাঙড়ের ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কাঠালিয়াতে একটি কর্মিসভার আয়োজন করে তৃণমূল নেতা মোদাসসের হোসেন। যখন মোদাসসের বলা শুরু করেন, তখন মঞ্চে উপস্থিত ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম, ব্লক সভাপতি ওহিদুল ইসলামরা।
তৃণমূল নেতার বক্তব্যেও উঠে আসে রাজ্যের রাজনীতিতে ট্রেন্ডিং ‘খেলা হবে’ ডায়লগ। তবে হাওয়া গরম করতে তৃণমূল নেতা বললেন, “সকলে বলছে খেলা হবে, হ্যাঁ খেলা হবে কিন্তু এখানে শুধু তৃণমূলের ছেলেরাই খেলবে। বিরোধী শূন্য খেলা হবে ভোগালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়, ছেলেরা তৈরি আছে। এখানে ভোটটা করাবে তৃণমূলের ছেলেরাই।” এখানেই থামেননি তিনি। বলেন, “আমাদের এলাকায় তৃণমূলের লোক ছাড়া অন্য কেউ ভোট দিতে যেতে পারবে না। বুথে থাকবে আধা সামরিক বাহিনী,মাঠে থাকবে আমাদের ছেলেরা।”
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরাবুল ইসলাম বলেন, “ভাঙড়ের খেলার মত বিকল্প দল কেউ নেই, খেলার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সর্বদা প্রস্তুত আছে। এই খেলা আমরাই খেলবো, এই খেলা আমরাই জিতব।”
তবে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই এহেন বক্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে গত ডিসেম্বরেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। গত মাসেই রাজ্যে এসেছিল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন চিফ ইলেকশন কমিশনার।
চিফ ইলেকশন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে আসেন আরও দুই ইলেকশন কমিশনার রাজীব কুমার ও সুশীল চন্দ্র। তারপরই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়ে দেন, কীভাবে এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করাতে হবে তা কমিশন জানে। সেই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে শাসকদলের নেতার এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগণা পূর্ব জেলার বিজেপি সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, “লোকসভা ভোটের পুনরাবৃত্তি ভাঙড়ে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় থাকে তা ভোটের সময় দেখা যাবে।” এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন তৃণমূলের গুণ্ডা, মাফিয়া, এক শ্রেণির পুলিশের হস্তক্ষেপেই হয় l বাংলার মানুষ ভোট দিতে পারে না। এটাই বাস্তব। কেন্দ্রীয় বাহিনী এর আগের নির্বাচনে কার্যকর ছিল। ২০১৬ সালে দুমাস আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। এরিয়া ডোমিনেশন ভালভাবে হোক। এবার সত্যিই খেলা হবে। দিদির পুলিশে খেলা হবে না, দাদার পুলিশে খেলা হবে।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: “কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে ক্যাম্পে আর বুথে, মাঠে থাকব আমরা। খেলা হবে!” জনসভায় দাঁড়িয়েই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা ভাঙড়ের (Bhangore) তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা মোদাসসের হোসেনের।
বাংলায় এবার ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের বাদ্যি বাজার অপেক্ষা।যুযুধান প্রতিপক্ষ এখন ব্যস্ত সংগঠনকে ঝালিয়ে নিতে আর দলীয় কর্মীদের আরও বেশি করে উজ্জীবিত করতে। কিন্তু তা করতে গিয়েই বিতর্কে জড়ালেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা মোদাসসের হোসেন।
ভাঙড়ের ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কাঠালিয়াতে একটি কর্মিসভার আয়োজন করে তৃণমূল নেতা মোদাসসের হোসেন। যখন মোদাসসের বলা শুরু করেন, তখন মঞ্চে উপস্থিত ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম, ব্লক সভাপতি ওহিদুল ইসলামরা।
তৃণমূল নেতার বক্তব্যেও উঠে আসে রাজ্যের রাজনীতিতে ট্রেন্ডিং ‘খেলা হবে’ ডায়লগ। তবে হাওয়া গরম করতে তৃণমূল নেতা বললেন, “সকলে বলছে খেলা হবে, হ্যাঁ খেলা হবে কিন্তু এখানে শুধু তৃণমূলের ছেলেরাই খেলবে। বিরোধী শূন্য খেলা হবে ভোগালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়, ছেলেরা তৈরি আছে। এখানে ভোটটা করাবে তৃণমূলের ছেলেরাই।” এখানেই থামেননি তিনি। বলেন, “আমাদের এলাকায় তৃণমূলের লোক ছাড়া অন্য কেউ ভোট দিতে যেতে পারবে না। বুথে থাকবে আধা সামরিক বাহিনী,মাঠে থাকবে আমাদের ছেলেরা।”
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরাবুল ইসলাম বলেন, “ভাঙড়ের খেলার মত বিকল্প দল কেউ নেই, খেলার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সর্বদা প্রস্তুত আছে। এই খেলা আমরাই খেলবো, এই খেলা আমরাই জিতব।”
তবে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই এহেন বক্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে গত ডিসেম্বরেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। গত মাসেই রাজ্যে এসেছিল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন চিফ ইলেকশন কমিশনার।
চিফ ইলেকশন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে আসেন আরও দুই ইলেকশন কমিশনার রাজীব কুমার ও সুশীল চন্দ্র। তারপরই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়ে দেন, কীভাবে এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করাতে হবে তা কমিশন জানে। সেই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে শাসকদলের নেতার এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগণা পূর্ব জেলার বিজেপি সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, “লোকসভা ভোটের পুনরাবৃত্তি ভাঙড়ে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় থাকে তা ভোটের সময় দেখা যাবে।” এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন তৃণমূলের গুণ্ডা, মাফিয়া, এক শ্রেণির পুলিশের হস্তক্ষেপেই হয় l বাংলার মানুষ ভোট দিতে পারে না। এটাই বাস্তব। কেন্দ্রীয় বাহিনী এর আগের নির্বাচনে কার্যকর ছিল। ২০১৬ সালে দুমাস আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। এরিয়া ডোমিনেশন ভালভাবে হোক। এবার সত্যিই খেলা হবে। দিদির পুলিশে খেলা হবে না, দাদার পুলিশে খেলা হবে।”