ভাঙড়: ভাঙড়ে মনোনয়ন পর্ব (Nomination of Panchayat) ঘিরে যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে, তাতে মৃত্যু হয়েছে এক আইএসএফ কর্মীর (ISF Worker Death)। তৃণমূলের দাবি, তাদেরও দু’জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আর এসবের মধ্যেই আজ ভাঙড়ের অশান্তি কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর দুপুরে মৃত আইএসএফ কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Nawsad Siddiqui)। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকা বার্তা দেন। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য। কিন্তু আজ বিকেল পর্যন্তও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা না পেয়ে কমিশনের ভূমিকায় কিছুটা হতাশ নওশাদ।
ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়কের প্রশ্ন, ‘দীর্ঘক্ষণ পার হয়ে গেল, এখনও (কেন্দ্রীয় বাহিনী) পাঠায়নি। নির্বাচন কমিশন আর ক’টা লাশ দেখতে চাইছে? আর ক’জন মায়ের কোল খালি হোক চাইছে কমিশন? আর কত মারামারি, হানাহানি, খুনোখুনি দেখতে হবে? রাজ্য পুলিশ কেন আটকাতে পারছে না? আমি পুলিশকে বদনাম করছি না। কিন্তু অত্যধিক রাজনীতিকরণের জন্য রাজ্য পুলিশের উপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে।’
পাশাপাশি এদিন রাজ্যপালের ভাঙড়ে আসার পর সাধারণ মানুষের মন থেকে ভয় কিছুটা কমেছে বলেও মনে করছেন নওশাদ। তাঁর বক্তব্য, গত কয়েকদিন ধরে ভাঙড়ের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে চিল। তবে আজ রাজ্যপাল আসার পর কিছুটা হলেও ভাঙড়বাসী স্বস্তি পেয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। বললেন, ‘সাধারণ মানুষ ও আইএসএফ কর্মীরা রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। রাজ্যপাল অত্যন্ত বিচক্ষণ মানুষ। তিনি সবটা শুনেছেন। সবথেকে বড় কথা তিনি গ্রাউন্ড জিরোতে এসেছেন। তিনি নিশ্চয়ই সব বুঝতে পেরেছেন, কারা কী করেছে।’ ভাঙড়ে বিগত কয়েকদিনে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে রাজ্যপালের আসা অত্যন্ত জরুরি ছিল বলেই মনে করছেন তিনি। বললেন, ভাঙড়বাসীর পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে অনেক ধন্যবাদ। বিধায়কের আশা, রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পর ভাঙড়ে শান্তি ফিরবে। মানুষ নির্বিঘ্নে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ভোটের নামে আর ‘প্রহসন’ হবে না বলেই আশা নওশাদের।