কাকদ্বীপ: শাসকদের দলের নেতাদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে বিরোধীরা সাম্প্রতিক অতীতে মাঝে মধ্যেই খোঁচা দিয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেক শাসক নেতাকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। আজ কাকদ্বীপের সভা থেকে শাসক দলের নেতাদের খোঁচা দেওয়া প্রসঙ্গে বিরোধীদের জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, ‘যারা ছোট ছিল, আজ বড় হয়েছে। বলছে, ওর এত টাকা হল কীভাবে! ধরুন, কেউ যখন ছোট ছিলেন, তাঁর বাবা-মা তাঁকে মানুষ করেছেন। তারপর তিনি বড় হয়ে একটা চাকরি করছেন বা ব্যবসা করছেন বা দোকান চালাচ্ছেন। তারপর তাঁর আবার বিয়ে হয়ে ছেলে-মেয়ে হয়েছে। সেই ছেলে-মেয়েরা আবার বড় হয়ে চাকরি-বাকরি করছেন। যখন মানুষের ঘরে কিছু থাকে না, একটু কাঁথা সেলাই করতে করতে, ঝালমুড়ি তৈরি করতে করতেও, জীবন তৈরি করে নেন। জীবনের অধঃপতন হয় না, সেটার উত্তরণ হয়।’
সভায় জমায়েত হওয়া ভিড়ের উদ্দেশে মমতা বললেন, ‘পঞ্চাশ বছর আগে আপনি যা ছিলেন, আজ কি আপনি সেই একই অবস্থায় আছেন?’ এরপরই অভিষেকের নামে বিরোধীদের আক্রমণ নিয়ে পাল্টা দিতে শুরু করলেন মমতা। বললেন, ‘যাঁরা মাঝে মাঝে এত অসম্মান করে… কী না বলে বলুন তো! কী না বলে আমার নামে, পরিবারের নামে, অভিষেকের নামে। ভাষা সন্ত্রাস চলছে। শব্দদূষণ চলছে। কুৎসার দুর্যোগ চলছে। নরম মাটি কামড়ানো খুব সহজ। তাই না? আমরা যত মানবিক হচ্ছি, তত তোমরা দানবিক হয়ে উঠছো।’
শাসক দলকে দুর্বল ভাবলে যে বিরোধীরা ভুল করবে, সেই কথাও এদিন ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য, ‘মনে রেখো, তৃণমূল দুর্বল নয়। যখন তৃণমূল তৈরি হয়েছিল, আমাদের বেড়া দিয়ে রাখতে হত। পাছে ছাগল-গরু খেয়ে নেয়, সেই চিন্তায়। আজ সেই দল বড় হয়ে বটবৃক্ষ হয়ে গিয়েছে। এই বটবৃক্ষকে খেয়ে নেওয়া এত সহজ নয়। যারা রোজ কুৎসা করে, তাঁদের আমি বলি ঈশ্বর তোমাদের ক্ষমা করুক। আমাকে যত পারো, গালাগালি দাও। কিন্তু বাংলার বদনাম করো না।’