দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তিনি জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বক্সার। কিন্তু গার্হস্থ্য হিংসার কাছে কার্যত হার মেনেছিলেন তিনিও। নেপথ্যে নিজের ও পরিবারের সম্ভ্রম। কারণ ওই যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্কের পর বিয়ে করেছিলেন তিনি। যদিও সেটা বাধ্য হয়েই। এরপর পরের অভিযোগ আরও বড়। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, শারীরিক সম্পর্কের ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছিল জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বক্সারকে। কিন্তু বিয়ের পরে বাড়ে অত্যাচারের পরিমাণ। বাধ্য হয়েই বিয়ের দেড় বছরের মাথায় স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় দ্বারস্থ হলেন বক্সার। ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ২০১৬ সাল সালে একটি বিয়ে বাড়িতে দু’জনের পরিচয় হয়। তারপর ওই যুবক তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। তাতে রাজিও হয়ে যান তিনি। বেশ কিছুদিন কথোপকথনের পর ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যান। কিন্তু ওই বাড়িতে তখন কেউ ছিলেন না। এরপর জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করেন ওই যুবক। সেসময় আপত্তিকর ছবি ও ভিডিয়ো তুলে রাখেন। পরে সেগুলি ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন তিনি।
অভিযোগ, একপ্রকার ভয় দেখিয়েই ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বিয়ে করতে বাধ্য করেন ক্রীড়াবিদকে। তারপরও চলে ব্ল্যাকমেল ও শারীরিক -মানসিক অত্যাচার। অভিযোগ তেমনই।এমনকি ভয় দেখিয়ে বক্সারের বাবার কাছ থেকেও টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ। ইদানীং সেই অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অভিযুক্তের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। এরপর লেদার কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, তা সম্ভব হয়নি।