Canning: লিফটে এক ঘণ্টা আটকে দুই মহিলা ও এক চাওয়ালা, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ক্যানিং হাসপাতালে

Abhigyan Naskar | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 19, 2023 | 12:17 PM

Canning: হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,  ওই দুই মহিলার বাড়ি বাসন্তী থানার সোনাখালি গ্রামে।  বিলকিস খাতুন নামে ওই মহিলার পাঁচ মাসের সন্তান হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।মঙ্গলবার তাঁরা লিফটে করে জল আনতে নীচে নেমেছিলেন।

Canning:  লিফটে এক ঘণ্টা আটকে দুই মহিলা ও এক চাওয়ালা, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ক্যানিং হাসপাতালে
হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়ে ৩ জন
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

ক্যানিং: হাসপাতালের দোতলায় শিশু বিভাগে তাঁর পাঁচ মাসের সন্তান চিকিৎসাধীন। তিনি রাস্তার দোকান থেকে জল কেনার জন্য নীচে নেমেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও এক মহিলা। জল কেনাও হয়ে গিয়েছিল। তারপর লিফটে হাসপাতালের দোতলায় যাচ্ছিলেন। এদিকে, চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীদের চা দিতে যাচ্ছিলেন স্থানীয় এক দোকানি। আচমকাই কারেন্ট বন্ধ। ঝপ্ করে বন্ধ হয়ে যায় লিফট। কোনওভাবেই চালু করা সম্ভব হয়নি লিফট। এক ঘণ্টা ধরে লিফটের মধ্যেই আটকে থাকলেন দুই মহিলা-সহ তিন জন।  ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে মহিলা ও শিশু বিভাগের লিফটে ভয়ঙ্কর ঘটনা।  এক ঘণ্টা পর লিফট পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়। আটকে থাকা তিন জনকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁরা বর্তমানে সুস্থই রয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগীদের মধ্যে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,  ওই দুই মহিলার বাড়ি বাসন্তী থানার সোনাখালি গ্রামে।  বিলকিস খাতুন নামে ওই মহিলার পাঁচ মাসের সন্তান হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।মঙ্গলবার তাঁরা লিফটে করে জল আনতে নীচে নেমেছিলেন। ওঠার সময়ে হঠাৎ লিফটের কারেন্ট চলে যায়। একাধিকবার চেষ্টা করেও ওই লিফট চালু হয়নি।

লিফটের ভিতর থেকেও কোনওভাবে ফোন করে চা বিক্রেতাই হাসপাতালের কর্মীদের খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করেন হাসপাতালের টেকনিশিয়ান বিভাগের কর্মীরা। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় কোনও ভাবে লিফট চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না। এই ভাবে ঘণ্টা খানেক পেরিয়ে যায়।

দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পরে খবর পৌঁছয় ক্যানিং থানায়। পুলিশও হাসপাতালে পৌঁছয়। পুলিশও ফোন করে অন্যান্য মিস্ত্রি খবর দেন। এরপরে কোনওভাবে লিফটের দরজা খুলে তিন জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এখনও পর্যন্ত  বন্ধ রয়েছে লিফট পরিষেবা। উদ্ধার হওয়ার পর এক মহিলা বলেন, “ভাগ্যিস আমাদের ফোনটা কাজ করছিল। সে কারণে ফোনটা প্রথমে বাড়ির লোককে বলি। তারপর ওই চা বিক্রেতার কাছ থেকে নম্বর নিয়ে হাসপাতালের এক কর্মীকে ফোন করি। পুরো ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট আটকে ছিলাম। পরে মিস্ত্রিরা এসে আমাদের উদ্ধার করে।” তবে এখনও পর্যন্ত হাসপাতালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Next Article