বাসন্তী: ভোট পরবর্তী হিংসায় গণধর্ষণের মামলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার দু’জন। বুধবার অভিযান চালিয়ে এই দু’জনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্তর্গত একটি এলাকায় সিবিআই-এর বিশেষ দল আসে। তারাই অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও এক অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
শুধু তাই নয় স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাদের ইন্ধনে এই ঘটনা। তারাই রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘটিয়েছিল এবং ধর্ষণ করেছিল। সেই সমস্ত মূল অভিযুক্তদেরকে সিবিআই এখনও গ্রেফতার করেনি।
বস্তুত, বিধানসভা ভোটের পর সংশ্লিষ্ট গ্রামের এক মহিলাকে বিজেপি করার অপরাধে বাড়িঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তারপর বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার। শুরু হয় তদন্ত। হাইকোর্টও নির্দেশ দেয় যাতে এই ঘটনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর সিবিআই গোয়েন্দারা সূত্র মারফত খবর পান, পলাতক অভিযুক্তরা এলাকায় এসেছে। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগান তারা। বৃহস্পতিবার সকাল বেলাই হাতেনাতে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সিবিআইয়ের বিশেষ দল।
এ দিন, নির্যাতিতা ওই বিজেপি কর্মী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অঝোরে কাঁদতে-কাঁদতে বলেন, ‘আমরা বিজেপি করি বলেই আমাদের সঙ্গে এমন অত্যাচার করেছে। শুনেছি আজকে সিবিআই এদের গ্রেফতার করেছে। আরও অনেকে ছিল। তাদেরকে আমি চিনতে পারিনি। আমি সিবিআই দফতরে গিয়েছিলাম। যে মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়েছে, সেই মাতৃস্তনের রক্ত ঝরার বিচার চাই।’
যদিও, ঘটনায় বিষয় অস্বীকার করে ধৃত একজনের বাবা বলেন, ‘আমি তখন বাড়ি ছিলাম না। বিধানসভার পরে যে সকল অন্যায় কাজ করা হয়েছে সেই কারণেই শুনছি গ্রেফতার হয়েছে। ভোটের সময় নরুল বলে এলাকারই একজন গ্রামের অনককে এই কাজ করতে বলেছিল। নয়ত প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমরা তখন বিষয়টি জানতাম না। পরে শুনি ওই ব্যক্তি মার্ডার কেসের আসামি। সে এখন যথারীতি বুক ফুলিয়ে ঘুরছে আর আমাদের ছেলেরা যারা কিছুই করেনি শুধু দাঁড়িয়েছিল তাদেরকে সিবিআই গ্রেফতার করছে। তবে ধর্ষণের কোনও কথা আমরা শুনিনি। শুনেছিলাম ভাঙচুর করা হয়েছিল।’