দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন জন। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী ব্লকের চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বয়ারসিং মুড়ি পাড়া এলাকায়। ঘটনায় জখম হয়েছেন নিরাঞ্জন নস্কর,তপন নস্কর ও তপনের স্ত্রী মঞ্জু নস্কর। এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় একজন ফেরিওয়ালা তপন নস্কর। তিনি পুরনো তৃণমূলপন্থী। ভ্যানে করে পাড়ায় পাড়ায় জামাকাপড় বিক্রি করেন। বুধবার রাতে বাজার থেকে বাড়িতে ফিরে সবে মাত্র বারান্দায় বসেছিলেন। অভিযোগ, যুব তৃণমূল আশ্রিত জনা দশেক দুষ্কৃতী লাঠি, লোহার রড নিয়ে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়।
অভিযোগ, তপনকে বেধড়ক মারধর করে পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয়। আবারও তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় তপনকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায় তাঁর স্ত্রী মঞ্জু। অভিযোগ, তাঁকে ও তাঁর বৃদ্ধ শ্বশুরকে লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।
রাতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা দৌড়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গা ঢাকা দেয়। প্রতিবেশীরা আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য। বর্তমানে বাবা,ছেলে ও ছেলের স্ত্রী ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আক্রান্তের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে ওরা। কেন কীসের আক্রোশ এসে পড়ল আমাদের ওপর, সে তো বুঝি না। কিন্তু এলাকায় দখলদারি চালানোর প্রবণতা রয়েছে ওদের। আমরা দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী। ওরা তো সবে এসেছে। ” স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের বক্তব্য, এটা নিতান্তই গ্রাম্য বিবাদ। পুরনো কোনও বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই।