দক্ষিণেশ্বর: বেলঘড়িয়ায় ভুয়ো আইপিএস অফিসার (Fake IPS) রাজর্ষি ভট্টাচার্যকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর এদিনই দক্ষিণেশ্বরে পৌঁছল সিআইডি। মঙ্গলবার গভীর রাতে সিআইডির একটি দল দক্ষিণেশ্বরের পিসি ব্যানার্জি লেন রোডের বাড়িতে যায়। সেখানেই আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাজর্ষি ভট্টাচার্যকে। তার বাড়ির বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
ভুয়ো আইএএস (Fake IAS)-এর পর এবার গ্রেফতার হয়েছে ভুয়ো আইপিএস অফিসার। ধৃত বেলঘরিয়ার বাসিন্দা,নাম রাজর্ষি ভট্টাচার্য। অভিযোগ নিজেকে র-এর অফিসার বলেও পরিচয় বলেও পরিচয় দিতেন অভিযুক্ত। পুলিশের দাবি, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পিস্তল ও গুলি।
ভুয়ো করোনা ভ্যাকসিনকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর নীল বাতির গাড়ি ব্যবহার নিয়ে কার্যত আইনি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল রাজ্যে। কে বা কারা এই বাতির গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন, কারা পারবেন না – তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কলকাতায়া অবৈধভাবে নীল বাতি লাগানো গাড়ির ব্যবহার কমেনি। এর আগেও ভুয়ো সিবিআই আধিকারিকের পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তিকে পার্ক স্ট্রিট থেকে গ্রেফতার করার সময় পুলিশ তার নীল বাতির গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে।
দেবাঞ্জনের কীর্তি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই একের পর এক ভুয়ো সরকারি আধিকারিকের খোঁজ মিলছে শহরের বুকে। সিবিআই, ইডি, আইপিএস, সিবিআই কৌসুলী পরিচয় দিয়ে প্রতারণার কীর্তি প্রকাশ্যে এসেছে। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন রাজর্ষি দত্তের নাম।
সোমবার রাতে ভুয়ো পুলিশ কর্তা রাজর্ষির কাছেও মিলল সেই গাড়ি। তিনি একটি নামী সংস্থার চারচাকার গাড়িতে নীল বাতি লাগিয়ে ঘুরতেন বলে অভিযোগ। রাজর্ষির সঙ্গে গ্রেফতার হয় অভিজিৎ নামে বহরমপুরের এক বাসিন্দা। সে রাজর্ষির নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত। অন্যদিকে মহম্মদ সিকন্দর রাজর্ষির গাড়ির চালক ছিল। ধৃতদের এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে পুলিশ। তার পর রাতেই তার দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতে হানা দিল সিআইডি দল। আরও পড়ুন: মৃত্যুহীন কলকাতা, হাওড়া-সহ ১৬ জেলা, বাড়ল সুস্থতার হার, দেখে নিন আপনার জেলার করোনা পরিস্থিতি