CPI(M) Leader Kidnapped: বাড়িতে এসে বোমা-বন্দুক দেখিয়ে সিপিআই(এম) নেত্রীকে তুলে নিয়ে গেল চার মহিলা!

South 24 pargana CPI(M) Candidate Kidnapped: রেণুকা রাধাকান্তপুর পঞ্চায়েত এলাকার আশাকর্মী। তাই আশপাশের অনেকে তাঁর বাড়িতে ওষুধ নিতে আসেন।

CPI(M) Leader Kidnapped: বাড়িতে এসে বোমা-বন্দুক দেখিয়ে সিপিআই(এম) নেত্রীকে তুলে নিয়ে গেল চার মহিলা!
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2022 | 8:57 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দরজায় প্রথমে পড়ল টোকা। এরপর খুলতেই দেখা গেল চার মহিলাকে। অসুস্থ বলে ওষুধ চাইলেন তারা। আর বিশ্বাস করে যেই হাত বাড়িয়েছেন অমনি বদলে গেল পরিস্থিতি। টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে করে তাঁরা তুলে নিয়ে গেল সিপিআইএম সদস্যকে। রীতিমত বাড়িতে এসে বোমা-বন্দুক দেখিয়ে সিপিআই(এম)-এর ওই পঞ্চায়েত সদস্য, রেণুকা নাইয়াকে অপহরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির রাধাকান্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গিলারছাঁট ভদ্রপাড়া এলাকায়। অপহরণের অভিযোগে সিপিআই(এম) কর্মী-‌সমর্থকরা রাধাকান্তপুরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। সিপিআই(এম)-এর অভিযোগ, এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও, অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে।

রাধাকান্তপুরের ভদ্রপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেণুকার পরিবারের অভিযোগ, শনিবার সকালে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা দেখিয়ে তাঁকে অপহরণ করা হয়।রেণুকার মেয়ে স্বাগতা নাইয়ার কথায়, “আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তিন মহিলা বাড়িতে আসে। তাঁরা মায়ের কাছে প্রথমে ওষুধ চায়। মা ঘর থেকে বের হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে আচমকা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে চার দুষ্কৃতী ছুটে ঘরে ঢোকে। ওরা আমাকে ও মাকে বোমা-বন্দুক দেখায়। ঘরের মধ্যে লুটপাঠ করে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে মারধর করে। মাকে টেনে হেঁচড়ে অটোয় নিয়ে গিয়ে তোলে। এরপর বোমা ফাটিয়ে চলে যায়।”

রেণুকা রাধাকান্তপুর পঞ্চায়েত এলাকার আশাকর্মী। তাই আশপাশের অনেকে তাঁর বাড়িতে ওষুধ নিতে আসেন। শনিবার সকালে তিন মহিলাকে বাড়িতে ঢুকতে দেখে তাঁরা ওষুধ নিতে এসেছেন বলে আন্দাজ করেছিল। ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার জয়নাল-কৃষ্ণচন্দ্রপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী-সমর্থকরা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার একমাত্র রাধাকান্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতটি সিপিআই(এম)এর দখলে। এই পঞ্চায়েতের মোট ১৪ জন সদস্য রয়েছেন ৷ তার মধ্যে নয় জন সিপিএম সদস্য, দু’জন এসইউসি সদস্য এবং তিন জন তৃণমূলের। সিপিএমের অভিযোগ, মাস দেড়েক আগে এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ চার বাম সদস্যকে অপহরণ করেছিল তৃণমূল। তেমন ভাবে শনিবার সকালে মহিলাদের কাজে লাগিয়ে বোমাবাজি করে রেণুকাকে অপহরণ করা হয়। তাঁদের দাবি, বাম সদস্যদের অপহরণ করে জোর করে পঞ্চায়েতের দখল নিতে চাইছে তৃণমূল। বামেদের আরও দাবি, অপহৃতদের সকলকে স্থানীয় নগেন্দ্রপুর ফ্লাড সেন্টারে আটকে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রায়দিঘি থানার দ্বারস্থ সিপিআই(এম)।

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “দিনদুপুরে আমাদের সদস্যদের অপহরণ করা হয়েছে৷ তাঁদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে। আমরা পুলিশের কাছে যাচ্ছি। ওই পঞ্চায়েত দখল নিতে এই কাজ করেছে তৃণমূলীরা। সদস্যদের ছাড়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে রায়দিঘিতে।” যদিও, সিপিএমের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় বিধায়ক অলোক দলদাতার পাল্টা দাবি, “সিপিআই(এম) মিথ্যা অভিযোগ করছে৷ মিথ্যে কথা রটিয়ে প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করছে। ওই সদস্য অপহৃত হননি। রায়দিঘির মানুষ সব জানেন।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা