মহেশতলা: দোতলা বাড়ি। আচমকাই উপরে চলে গেলে ব্যক্তি। কিন্তু অনেকক্ষণ তাঁর সাড়াশব্দ না পেয়েই সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। উপরের ঘরে গিয়ে দেখেন ঝুলছেন ব্যক্তি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের নুঙ্গি চ্যাটার্জি পাড়ার ঘটনা। সেখানেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে অনুপম রায় নামে এক যুবকের দেহ। বছর চব্বিশের ছেলেটি পেশায় নাচের শিক্ষক বলেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন।
পরিবার সূত্রে খবর, অনুপম সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ির দু’তলার উপরে তার ঘরে চলে যান। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর তাঁর শব্দ না পেয়ে উপরের ঘরে গিয়ে দেখেন অনুপম গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। এরপর তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বজবজ এইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তবে পরিবারের একমাত্র ছেলে কী কারণে এমন পদক্ষেপ করল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘ঘরের মধ্যে একাই ছিল। তারপর হঠাৎ করে উপরে চলে যায়। অনেকক্ষণ কোনও আওয়াজ না পেয়ে ওর বাবার সন্দেহ হয়। তখন ওর বাবা উপরে গিয়ে দেখেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু কেন এমন করল কে জানে। ওর আর কোনও ভাই-বোন ছিল না।’ এ দিকে, এলাকার ভাল ছেলেটার এমন পরিণতি মেনেই নিতে পারছেন না প্রতিবেশী থেকে পরিবারের একাংশ সদস্য।