Arrest in Fraud Case: চাকরি দেওয়ার নামে ৫০ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ, ‘তৃণমূলকর্মী’ বলেই পরিচয় দিলেন ধৃত চিকিৎসক

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 17, 2022 | 12:32 PM

Arrest in Fraud Case: কারও কাছ থেকে ৫০ হাজার, কারও কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকারও করছেন এলাকার ওই চিকিৎসক।

Arrest in Fraud Case: চাকরি দেওয়ার নামে ৫০ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ, তৃণমূলকর্মী বলেই পরিচয় দিলেন ধৃত চিকিৎসক
অভিযুক্ত চিকিৎসক উত্তম মুখোপাধ্য়ায়

Follow Us

সোনারপুর : সরকারি চাকরি দেবেন বলে নথিপত্র নিতেন লোকজনের কাছ থেকে। নিতেন টাকাও। নিজেই এ কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। এলাকার চিকিৎসককে বিশ্বাস করে টাকাও দিতেন অনেকে। কেউ দিতেন ৫০ হাজার, কেউ ১ লক্ষ। যেমন পদে চাকরি, তেমনই টাকার অঙ্ক। দিনের পর দিন কেটে গেলেও চাকরি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই তৈরি হয়নি। বাবা ও ছেলে মিলে এ ভাবে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক উত্তর মুখোপাধ্য়ায় ও তাঁর ছেলে অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সরকারি স্ট্যাম্প দেওয়া নথি।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বৈকন্ঠপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাবা ও ছেলেকে। মঙ্গলবার ওই অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে আটক করা হয়েছিল। তারপর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা ও ছেলে মিলে প্রায় ১৫৬ জনের কাছ থেকে মোট ৫০ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে। তাঁদের আটক করার পর বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। নগদ প্রায় ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বাড়ি থেকে। এ ছাড়া মিলেছে প্রচুর সরকারি নথি। চাকরির নিয়োগপত্রও রয়েছে সেই সব নথির মধ্যে। সেগুলি নকল নথি কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর পিছনে কোনও প্রতারণ চক্র রয়েছে কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত। তবে, বর্তমানে তিনি তৃণমূল কর্মী বলেই জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে ১৪ ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী হিসেব নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। অভিযুক্ত জানিয়েছেন, পরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি।

তবে টাকা নেওয়া বা নথিপত্র নেওয়া, কোনও অভিযোগই অস্বীকার করছেন না তিনি। ক্যামেরার সামনে অকপটে তিনি জানিয়েছেন, চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা নিতেন তিনি। প্রয়োজন ছিল বলেই নথিপত্র নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন চিকিৎসক। সাগ্নিক দত্ত চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি জানান, তাঁর স্ত্রীকে নবান্নে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন উত্তম। আর এক ব্য়ক্তি জানান, ১ লক্ষ নেওয়া হয়েছিল তাঁর কাছ থেকে। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে বাবা ও ছেলেকে।

Next Article