ডায়মন্ড হারবার: রাজ্য রাজনীতিতে ডায়মন্ড হারবার বলতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গ। আর সেই দুর্গেই এমন বেশ কিছু পকেট রয়েছে, যেখানে ভোটব্যাঙ্কে তৃণমূলের ঘাটতি! লোকসভা ভোটের আগে প্রস্তুতি পর্বে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের নেতৃত্বে দলীয় বৈঠকে উঠে এল এমনই তত্ত্ব। উঠে এল একেবারে ডায়মন্ড হারবার পুরসভারই চারটি ওয়ার্ডের প্রসঙ্গ। পুরসভার ৪, ৬, ৯ ও ১৬ – এই চারটি ওয়ার্ডে ভোটে ঘাটতি রয়েছে তৃণমূলের। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দলীয় বৈঠকে এই চার ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের তাঁদের এলাকায় ভোটে ঘাটতির কারণ জানতে চান অভিষেক।
তৃণমূল বারবারই ডায়মন্ড হারবারের উন্নয়নের প্রসঙ্গ তোলে। রাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ঢেলে কাজ করা হয়েছে ডায়মন্ড হারবারে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ ইতিমধ্যেই ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এ বছরেই জানুয়ারিতে অভিষেক তাঁর ডায়মন্ড হারবার মডেলের মানে বুঝিয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, তাঁর সাংসদীয় এলাকায় গত এক দশকে গড়ে প্রতি ঘণ্টায় ৬ লাখ টাকার কাজ হয়েছে।
ডায়মন্ড হারবারের উন্নয়নে যখন এত কাজ হচ্ছে, তখন কেন এই পকেটগুলিতে ভোটে ঘাটতি, সেই নিয়েই প্রশ্ন অভিষেকের। এত কাজ করার পরেও কেন ভোটে ঘাটতি পড়ছে, সেই বিষয়টি জানতে চান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। একইসঙ্গে অভিষেক এই বার্তাও দিয়ে রেখেছেন, যে সব এলাকায় ভোটে ঘাটতি রয়েছে কিংবা বিজেপি এগিয়ে রয়েছে, সেই সব জায়গায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যেতে হবে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের। অভিষেক এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার পরও যদি মানুষকে না বোঝানো যায়, তাহলে বুঝতে হবে ওই এলাকার স্থানীয় স্তরের নেতাদের মানুষ পছন্দ করছেন না। সেক্ষেত্রে তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হতে পারে, এমন বার্তাও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা ভোটে এবার তাঁর সাংসদীয় এলাকায় শুধুমাত্র ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই এক লাখ ভোটের মার্জিন বেঁধে দেন অভিষেক। যাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন, তাঁদেরও সঙ্গে নিয়ে প্রচারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।