দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা পর তৎপর সমস্ত জেলা পুলিশ। তল্লাশি ডায়মন্ডহারবার থেকে উদ্ধার প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের মধ্যে ১৪ টি থানা থেকে মোট ২৫ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। এছাড়াও ৪০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। বিষ্ণুপুর থানায় রসপুঞ্জ মোল্লা পাড়া থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে তাদের কাছে থেকে উদ্ধার হয় ৪ কেজি গান পাউডার, একটি ৭ এম এম পিস্তল, ৭ এমএম পিস্তলের ১৪ রাউন্ড কার্তুজ, এছাড়াও ৭ টি ওয়ান সার্টার পিস্তল। ওয়ান সার্টারের ২৬ রাউন্ড কার্তুজ। এছাড়াও বেশ কিছু বোমা তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া গিয়েছে। গোটা বিষয়টি মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কয়েকদিন ধরে রাজ্য জুড়ে চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। সেই কারণে পুলিশের সব শীর্ষ কর্তাদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে আগামী ১০ দিনের জন্য। রাজ্যে কোথায় কোথায় বোমা বা বেআইনি অস্ত্র রাখা আছে, সেই তল্লাশি চালানো হবে। যে সব থানায় এই সব অভিযোগ বেশি আসে, সেই থানাগুলির আইসিদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিতে হবে পুলিশ কর্তাদের। সেই রিপোর্ট নবান্নে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত জেলায় যত বোমা-বন্দুক-গুলি আছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উদ্ধার করে নষ্ট করতে হবে, ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছে তল্লাশি।
সেদিনই রাতারাতি বীরভূমে উদ্ধার হয় বোমা। প্রায় ২০০ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয় বীরভূমের মাড়গ্রাম থেকে। বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও বোমা উদ্ধার হয়। বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার হয় অস্ত্র।
রাজ্যের অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে সরব বিরোধীরাও। মুখ্য়মন্ত্রীকে বিঁধেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, “ভাঙড়ের সময়ে বলেছিলেন না, ওরা হচ্ছে আমাদের দলের সম্পদ। যে সকাল পর্যন্ত দলের সম্পদ ছিল, সে আপদ হল কী করে? বাংলায় কীভাবে এত অস্ত্র আসছে? তৃণমূল নেতা খুন হলেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। ” এরই মধ্যে বাসন্তীতে আজ বোমা বিস্ফোরণ হয়। বাড়িতেই মজুত বোমা ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় আপাতত এক জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।