দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বগটুই কাণ্ড তদুপরি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও রাজ্যের পরিস্থিতি বদলাচ্ছে কই! ফের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ। এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী। বাসন্তীতে বাড়িতে থাকা মজুত বোমা বিস্ফোরণ (Basanti Bomb Blast)। অভিঘাতে পুড়ে ছাই গোটা বাড়ি। ঘটনাস্থলে পুলিশ। কারোর মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকালে আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রামেক ১১ নম্বর সর্দার পাড়া গ্রাম। গ্রামবাসীরা তখন যে যাঁর কাজে ব্যস্ত। শব্দের উৎস সন্ধানে গিয়ে গ্রামবাসীরা দেখেন, প্রতিবেশী হামিউদ্দিন সর্দার ও মফিজউদ্দিনের বাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে গিয়েছে বাড়ির দেওয়াল। খড়ের চাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল। আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। তবে ওই বাড়ির ভিতর কেউ ছিলেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। পরিবারের অনান্য সদস্যরা পালিয়ে গিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী বগটুই কাণ্ডের পর নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে যাতে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র খোঁজার অভিযান চলে। এরপরও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বোমাবাজি ও গুলিচালনার অভিযোগ ওঠে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, “অতীতে বহু জায়গায় বহু বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি, এই রাজ্যটা উগ্রপন্থীদের ঘাঁটি। সেটাকে তৃণমূল কংগ্রেস পুরোপুরি ব্যবহার করছে। তৃণমূলী সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া হয়ে উঠেছে রাজ্য। বাংলা এখন অস্ত্রাগারে পরিণত হয়েছে। অস্ত্রাগারে তল্লাশির কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন। অভিযান স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ অস্ত্র উদ্ধারে যাদের গ্রেফতার করতে হবে, তারাও তো তৃণমূল।”
অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্যের অবস্থা খুবই ভয়াবহ, বিপজ্জনক। এটা আর নতুন করে বলার কিছু থাকে না। রাজ্যে বিধানসভা ভাঙচুর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরপর ঘটনাগুলো ঘটছে। রাজ্য পুলিশ কি জানে না? সব জানে। সব জেনেও স্তূপ থাকে। বারুদের স্তূপের ওপর রাজ্য।”
যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি স্পর্শকাতর এলাকা। এর আগেও গোলাগুলি, বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। আগেও এই এলাকা নিয়ে সতর্ক থাকতে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু তারপরও কীভাবে ওত বোমা মজুত হল ওই এলাকায়, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
বাসন্তীর একাধিক এলাকা স্পর্শকাতর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যুব তৃণমূল যাঁরা করেন, তাঁরাই মূলত বোমা বাঁধছিলেন। তা থেকেই বিস্ফোরণ। এর আগেও ওই এলাকায় খুন হয়েছে। নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর জন্য বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ইডির হাজিরা এড়ালেন অভিষেক, জানালেন ব্যক্তিগত সমস্যার কথা