দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কখনও স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির দাবি পণ, কখনও সন্তান হওয়া নিয়ে বিবাদ, ফের বিবাহ পরবর্তী অশান্তির মাশুল দিতে হল এক গৃহবধূকে। রবিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে কাশ্মীর খাতুন নামে ওই গৃহবধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সোনারপুর থানার পুলিশ। তারাই মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পরে সেটিকে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। এই ঘটনায় স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মেয়ের বাড়ির লোকজন। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে বারুইপুরের বাসিন্দা কাশ্মীরের সঙ্গে সোনারপুরের বাসিন্দা আরবান লস্করের বিয়ে হয়। কয়েক মাস পর থেকেই শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। মেয়ের পরিজনদের দাবি, কখনও টাকা আদায়ের জন্য আবার কখনও সন্তানসহ বিভিন্ন সাংসারিক বিষয় নিয়ে অশান্তি চলত। সেই সময় মারধর করা হতো তাদের মেয়ে কাশ্মীরকে। নিজের মায়ের কাছে অনেকবার ফোন করে সেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা। এরপর এদিন হঠাৎ ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির লোকজন গৃহবধুর আত্মহত্যার তত্ত্বকে সামনে আনলেও বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ ভিন্ন। তাদের দাবি, খুন করা হয়েছে কাশ্মীরকে। প্রথমে তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়। পরে নিথর দেহটি ঝুলিয়ে দেওয়া হয় দড়ি দিয়ে।
বাপেরবাড়ির লোকের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই স্বামীসহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই মৃত্যু রহস্যের কিনারা করতে চাইছে পুলিশ।