দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিধানসভা নির্বাচন আবহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চালু হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swastha Sathi Card)। রাজ্যের সমস্ত মানুষের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার চিকিৎসা পরিষেবার সুবিধা-সহ এই কার্ডের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালেই পরিষেবা পাওয়া যাবে এমনটাই নিশ্চিত করে রাজ্য সরকার। কিন্তু, তারপরেও একাধিকবার যখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে তখন রীতিমতো হাসপাতালগুলির উদ্দেশে কড়া নির্দেশ দেন খোদ মমতা।
নির্বাচনী জনসভা থেকে স্পষ্টই জানিয়ে দেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা না দিলে বাতিল হতে পারে হাসপাতালের লাইসেন্স। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীর পরিবার থেকে ৪২ হাজার টাকার দাবী করার অভিযোগ উঠল সোনারপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
মৃত জন্মেজয় মণ্ডলের পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে ওই বৃদ্ধ অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে স্বাস্থ্য়সাথীর গ্রহণযোগ্যতা না থাকায়, সোনারপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেই রোগীর চিকিৎসা সম্ভব। পাশাপাশি, বেশ কিছু পরীক্ষা করতে বলা হয়। তার জন্য প্রায় সাড়ে সাত হাজার টাকা নগদ ধার্য করে হাসপাতাল। সেই টাকাও মিটিয়ে দেন জন্মেজয়বাবুর পরিজনেরা। এর পর রাত বারোটা পঞ্চাশ নাগাদ হাসপাতালে মারা যান ওই বৃদ্ধ। কিন্তু, বুধবার সকালে ডিসচার্জের সময়ে রোগীর দেহ আটকে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, মৃতের আত্মীয়ের হাতে ৪২ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেয় হাসপাতাল।
রোগীর এক আত্মীয় বিপ্লব নায়েকের কথায়, “আমাদের বলা হল এখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করা হয়। আমরা সেইজন্য়েই ভর্তি করি। রোগী মারা যাওয়ার পর বডি আটকে রেখেছে হাসপাতাল। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটাও জমা রেখেছে। বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা পাওয়া যাবে না কারণ, ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে রোগী মারা গিয়েছে। এটা আমাদের ভর্তির সময়ে একবারও জানানো হয়নি। তাহলে আমরা এখানে ভর্তি করতাম না। সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতাম।” যদিও, এই ঘটনায় হাসপাতালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: টিভি নাইন বাংলার খবরের জের! রূপশ্রী দুর্নীতি প্রকল্পে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার অভিযুক্ত